নির্বাচনের আবহে সাধারণত বৈদেশিক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ভারতের বাজারে শেয়ার কেনার পথে হাঁটেন না। কিছু বেশি দাম দিয়ে হলেও ভোটের ফলের সময় তারা শেয়ার কিনে থাকেন। যার ফলস্বরূপ গত ২৩ এপ্রিল থেকে দালাল স্ট্রিটের ‘আতঙ্ক সূচক’ ১০টি সেশনে ধাপে ধাপে ৭০ শতাংশ বেড়ে ১৭-তে এসে পৌঁছায় মঙ্গলবার। যা বিগত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, শেয়ার বাজারে আদতে ভোটের প্রভাব পড়ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের মাঝে শেয়ার বাজারের ঘরোয়া বিনিয়োগকারীরা ইকুইটি শেয়ারের চেয়ে বেশি অপশন ট্রেডিংয়ে বিনিয়োগ করছে। মূলত বিভিন্ন সংস্থার ফলাফল সংক্রান্ত ঝুঁকি কমাতেই অপশনের দিকে ঝুঁকেছেন বিনিয়োগকারীরা। এদিকে ৪ জুনের আগে ইকুইটি শেয়ারের দাম কমলেও তা ছাড়তে চাইছেন না বিনিয়োগকারীরা। এই আবহে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার ৩৮৩.৬৯ পয়েন্ট বা ০.৮৬ শতাংশ পতন ঘটেছিল সেনসেক্সে। এর জেরে বিএসই সূচক গিয়ে ঠেকেছিল ৭৩,৫১১.৮৫ পয়েন্টে। অন্যদিকে, নিফটি পড়ে গিয়েছিল ১৪০.২ পয়েন্ট বা ০.৬২ শতাংশ। এর জেরে নিফটি গিয়ে ঠেকেছিল ২২,৩০২.৫ পয়েন্টে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শেয়ার বাজারে এই অস্থিরতা তৈরির নেপথ্যে রয়েছে বৈদেশিক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির হিড়িক। এর জেরে ঘরোয়া খুচরো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।