ভারতের অন্যতম বিখ্যাত শিল্পী সতীশ গুজরাল প্রয়াত। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা মৃত্যু হয়েছে ৯৪ বছর বয়সী এই শিল্পীর। ভারত সরকারের তরফে তাঁকে পদ্মবিভূষণে ভূষিত করা হয়েছিল।স্বনামধন্য শিল্পীর প্রয়াণে শোকের ছায়া সংস্কৃতিজগতে।
সতীশ গুজরাল, এক বহুমুখী প্রতিভার নাম। একাধারে তিনি যেমন ক্যানভাসে তুলির টানে মুগ্ধ করেছিলেন হাজারো শিল্পমনস্কদের, ঠিক তেমনই তাঁর হাতে সৃষ্টি করা ভাস্কর্য তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল খ্যাতির চূড়ায়। আবার কখনও বা কলমও ধরেছিলেন লেখালেখির জন্য। অনুপ্রেরণা পেয়োছিলেন ফইজ আহমেদ ফইজ এবং মির্জা গালিবের লেখা থেকে। একথা একাধিকবার নানা সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেও বলেছিলেন। চিত্রকর, ভাস্বর, লেখক কী ছিলেন না! এমন বহু গুণের অধিকারী ছিলেন সতীশ গুজরাল।
১৯২৫ সালে অবিভক্ত ভারতের লাহোরে জন্ম সতীশ গুজরালের। দেশভাগের যন্ত্রণা এবং ভয়াবহতার সাক্ষী তিনি। ভারত-পাকিস্তান ভাগের সময়ে শিমলা চলে আসেন গুজরাল। সেখানে থাকাকালীনই নিজেকে ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন চিত্রশিল্পী হিসেবে। আঁকা শুরু করেন ম্যান’স ক্রুয়েলটি টু ম্যান ভাবনায় একের পর এক মাস্টারপিস।
একাধারে ম্যুরালিস্ট, পেইন্টার, আর্কিটেক্ট এবং ডিজাইনার হওয়ার পাশাপাশি কবিতা প্রেমী ছিলেন সতীশ গুজরাল। দিল্লি হাইকোর্টের বিখ্যাত অ্যালফাবেট ম্যুরালটি গুজরালেরই তৈরি। এমনকি রাজধানীতে বেলজিয়ান এমব্যাসিও তাঁর ভাবনায় রূপ পেয়েছে। প্রসঙ্গত, সতীশ গুজরালের দাদা ছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দর কুমার গুজরাল। তাঁর স্ত্রী কিরণ, ছেলে মোহিত, পুত্রবধূ ফিরোজ এবং নাতিনাতনিরা বর্তমান।