করোনা মোকাবিলায় দেশের অধিকাংশ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় আগেই লকডাউনের কথা ঘোষণা হয়েছিল। তবে তার মধ্যেই মঙ্গলবার রাত ৮টায় ফের জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে এসে গোটা দেশজুড়েই টানা টানা ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই মতোই মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে গোটা দেশে জারি লকডাউন। কিন্তু এই ২১ দিন কাজ ছাড়া, উপার্জন ছাড়া মানুষ খাবে কী? এই প্রশ্নই যখন ঘুরছে গৃহস্থালির অন্দরে, তখন দেশের প্রান্তিক মানুষদের আর্থিক বিপর্যয় সামাল দিতে ১০টি নিদান দিলেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম।
১) প্রধানমন্ত্রী কিসান যোজনার বরাদ্দ দ্বিগুণ করে ১২ হাজার টাকা হোক। বাড়তি অঙ্ক সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হোক। পাশাপাশি ভাগচাষিদেরও প্রধানমন্ত্রী কিসান যোজনার আওতায় আনা হোক।
২) ১২ হাজার টাকা দুটি কিস্তিতে পাক ভাগচাষিরা।
৩) ‘মনরেগা’য় নথিভুক্ত শ্রমিক এবং শহরের গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩,০০০ টাকা করে ট্রান্সফার হোক।
৪) তাঁদের জনধন অ্যাকাউন্টেও ৬,০০০ টাকা করে ট্রান্সফার হোক।
৫) লকডাউনের ২১ দিনে তাঁদের বিনামূল্যে এককালীন ১০ কেজি করে চাল ও গম দেওয়া হোক।
৬) লকডাউনে নথিভুক্ত মালিকেরা যাতে তঁাদের কর্মীদের বেতন দেন, সেই বিষয়টি দেখুক সরকার।
৭) ওপরে উল্লেখিত সুবিধা থেকে যাঁরা বাদ পড়েননি, তাঁদের সকলের জন্য একটি ওয়ার্ড বা ব্লক স্তরে রেজিস্টার রাখতে হবে।
৮) তাঁদের সবার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
৯) কর দেওয়ার চূড়ান্ত সময়সীমা বেড়ে হোক ৩০ জুন। কিস্তিতে ব্যাঙ্কের ঋণ শোধের ক্ষেত্রেও তাই।
১০) অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও পরিষেবা এবং ১ থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ব্যবহারযোগ্য পণ্যের ক্ষেত্রে জিএসটি–হার ৫ শতাংশ কমুক।