বাংলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর পর তার শেষকৃত্য নিমতলা শ্মশানঘাটে করতে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে কলকাতা পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ঘন্টা তিনেক বাদে দাহ হলেও পরবর্তীতে ফের এমন অশান্তি রুখতে বড়মাপের সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। এবার থেকে করোনায় আক্রান্ত কোনও রোগীর মৃত্যু হলে ধাপায় দাহ ও পূর্ব কলকাতার বাগমারি কবরস্থানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
ধাপায় পুরসভার জঞ্জালের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে যেখানে দাবিহীন দেহ পুলিশের ব্যবস্থাপনায় দাহ করা হয় সেখানেই করোনায় ফের মারা গেলে শেষকৃত্যের ব্যবস্থা হচ্ছে। আর বাগমারির কবরস্থানের ভিতরেই আলাদা জায়গা ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের মৃতকে সেখানে সমাধিস্থ করা হবে বলে মেয়র জানিয়েছেন।
বুধবার এপ্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ইলেকট্রিক চুল্লিতে দেহ দাহ হলে করোনা কেন, অন্য কোনও জীবাণু থাকে না। আবার মাটির নিচে কোনও দেহ চলে গেলে সেখানেও সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন পুরসভা মানছে।’
পুরসভা সূত্রে খবর, ৬৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রায় কলকাতার সমস্ত শ্মশানেই দাহ হয়ে থাকে। যেখানে মাত্র ৫২ ডিগ্রি উঠলেই করোনা পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তাই যে বা যাঁরা সেদিন নিমতলা শ্মশানঘাটের চুল্লিতে দেহ পোড়ালে স্থানীয় জনপদে করোনা ছড়িয়ে পড়বে ভেবেছিলেন তাঁদের ‘হুজুগে ও গুজব সৃষ্টিকারী’ বলে কটাক্ষ পুরকর্তাদের।