দিল্লীর হিংসার বলি এবার এক আইবি অফিসার! পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব দিল্লীর চাঁদবাগে গণআক্রমণে নিহত হয়েছেন তিনি। মৃত আধিকারিকের নাম অঙ্কিত শর্মা। নর্দমা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, মঙ্গলবার বিকেলে কাজ থেকে ফেরার পথে বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া পাথরের মুখে পড়ে যান তিনি। তার পরে পিটিয়ে মারা হয় তাঁকে।
অঙ্কিত শর্মার বাবা রবীন্দ্র শর্মা নিজেও একজন আইবি অফিসার। তাঁর অভিযোগ, আম আদমি পার্টির সমর্থকদের আক্রমণেই মারা গেছে তাঁর ছেলে। পাথর ছুঁড়ে ও পিটিয়ে মারার পরে গুলিও চালানো হয়েছে তাঁর উপরে। মঙ্গলবার রাত থেকেই তাঁর পরিবার তাঁর কোনও সন্ধান না পেয়ে খোঁজ করতে শুরু করে। অবশেষে এক দিন পরে মিলল দেহ। ওই আইবি অফিসারের মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গত তিনদিন ধরে উত্তপ্ত উত্তর-পূর্ব দিল্লী। সিএএ বিরোধী এবং সমর্থকদের সঙ্ঘর্ষে আগুন জ্বলছে রাজধানী শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। সীলমপুর, জাফফরাবাদ, মৌজপুর, ভজনপুরা, চাঁদবাগ, করওয়াল নগর, গোকুলপুরী ও আরও অসংখ্য এলাকায় দোকানপাট জ্বালিয়ে দিয়েছে তাণ্ডবকারীরা। বাদ যায়নি পেট্রল পাম্প এবং রাস্তার পাশে থাকা গাড়িও। গুলি চালানোর পাশাপাশি এলোপাথাড়ি পাথর এবং ইটবৃষ্টিও করেছে তাণ্ডবকারীরা। বন্ধ দোকানপাট। রাস্তায় নেমেছে র্যাফ। সরকারি স্কুল-কলেজ বন্ধের পাশাপাশি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষাও। উত্তর-পূর্ব দিল্লীর চার জায়গায় জারি রয়েছে কার্ফু।
এসবের মধ্যেই সঙ্ঘর্ষের জেরে আজকের এই ঘটনা নিয়ে দু’জন পুলিশ অফিসারেরও মৃত্যু হল। আজ অর্থাৎ বুধবার এই নিয়ে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে দিল্লিতে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০০ জন। তীব্রভাবে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দিল্লীর সাধারণ মানুষ। বেশ কিছু এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতেই অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।