এই মুহূর্তে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার নীরব সাক্ষী থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি কোনও প্রতিবাদ না জানালে তা অনৈতিক হবে- জানুয়ারিতে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনার পরে নিজের পদত্যাগপত্রে এ কথা জানিয়েই প্রফেসর এমেরিটাসের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ অমিত ভাদুড়ি। এবার যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আলোচনা সভায় ‘ভারতীয় জাতীয়তাবাদ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বললেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দেশবাসীর মনে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা থেকে নজর ঘোরাতেই দেশপ্রেম এবং জাতীয়তাবাদের জিগির তোলা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিতা ব্যানার্জি মেমোরিয়াল হলে ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনালিজম অ্যান্ড ইকনমিক ডেভলপমেন্ট’ শীর্ষক আলোচনায় পড়ুয়াদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে বিজেপি সরকারের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনায় সরব হন এই বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ। অমিত বলেন, স্বাধীনতার পর অর্থনীতির যে মডেলটি মেনে চলা হয়েছে, তাতেই অসাম্যের বীজ লুকিয়ে ছিল। পরবর্তী কালে যে বাজার অর্থনীতি চালু হয়, তাও বাস্তবসম্মত ছিল না। তাঁর মতে মোদী সরকার অনেক স্বাধীনতা এবং প্রাধান্য দিয়ে কর্পোরেট জগতের হাতকেই শক্ত করেছে। ফলে অনেক বেশি অসাম্য তৈরি হয়েছে। এখন দেশবাসীর মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা ধামাচাপা দিতে বা তা থেকে নজর ঘোরাতেই বিজেপির তরফে দেশপ্রেম এবং জাতীয়তাবাদের জিগির তোলা হচ্ছে।