ক্রমশ অবনতি ঘটছে দিল্লীর অবস্থার। সঙ্ঘর্ষে ইতিমধ্যেই মৃত্যু ঘটেছে ২০ জনের, আহত প্রায় ২০০। পদক্ষেপ বলতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ‘শ্যুট অ্যাট সাইট’ অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এদিকে, দিল্লীর একাধিক অংশে জারি কার্ফু, চলছে পুলিশি টহলদারি। তা সত্ত্বেও আজ বুধবার নতুন করে হিংসার ঘটনা ঘটেছে রাজধানীতে। সমগ্র পরিস্থিতি যে আরও খারাপের পথে তা আন্দাজ করেই এবার বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করল শিবসেনা। তারা টেনে আনল ১৯৮৪ শিখ দাঙ্গার কথা। এককথায়, মিলিয়ে দিল ১৯৮৪ এবং ২০২০।
এদিন শিবসেনা তাদের মুখপত্র সামনায় উল্লেখ করেছে ১৯৮৪ সালের শিখ সঙ্ঘর্ষের কথা। তাদের বক্তব্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতে থাকাকালীনই দিল্লীতে সঙ্ঘর্ষের ঘটনা ঘটে গেল। মোদী-ট্রাম্প একে অপরের সঙ্গে যখন আলাপচারিতায় ব্যস্ত তখন দিল্লী জ্বলছে। যে কারণেই সংঘর্ষ লাগুক না কেন এটা স্পষ্ট যে, কেন্দ্রীয় সরকার আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। আজকের দিনেও ১৯৮৪ সালের শিখ সঙ্ঘর্ষের জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করা হয়। এখন দিল্লীর ভয়াবহ পরিস্থিতি সেই ১৯৮৪ সালের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
সেনা আরও বলেছে, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কে তা স্পষ্ট করতে হবে শীঘ্রই। আরও অবাক করা বিষয় হল, দিল্লী নির্বাচন সম্পন্ন হতেই রাজধানীতে এই সঙ্ঘর্ষ বাঁধল। যে নির্বাচনে বিজেপি হেরে গেল সেখানেই এই ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। দিল্লীর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গেল। এই মন্তব্য করে সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে শিবসেনা।
উল্লেখ্য, দিল্লির হিংসার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০। প্রায় চারদিন ধরে গোটা উত্তর-পূর্ব দিল্লি জুড়ে গোষ্ঠী সংঘর্ষ চললেও তা বাগে আনতে ব্যর্থ পুলিশ প্রশাসন। উপদ্রুত এলাকায় কার্ফু জারি থাকলেও বুধবার নতুন করে হিংসার ঘটনা ঘটেছে গোকুলপুরী এলাকায়। সেখানকার টায়ার বাজারে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এই হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক পুলিশকর্মী সহ ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত প্রায় ২০০ জন।