বাকি সর্বত্র তাঁর ‘প্রিয় বন্ধু’, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সঙ্গ দিলেও পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম তাজমহলে তাঁর সঙ্গে যাবেন না নরেন্দ্র মোদী। শনিবার সরকারি সূত্রে বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানানো হয়েছে।
ট্রাম্পের দুদিনের ভারত সফর নিয়ে একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেই উদ্বেল সংবাদমাধ্যমগুলিও। দিন কয়েক ধরেই ট্রাম্প এবং মোদীর সফরসূচি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে। সেখানেই উল্লেখ করা হয়, ভারত সফরে আগ্রায় গিয়ে তাজমহল দেখবেন সস্ত্রীক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁদের সঙ্গ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী-সহ সরকারের উচ্চস্তরের প্রতিনিধিরা। শনিবার সেই সব রিপোর্টকে নস্যাৎ করে সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা দেখছিলাম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আগ্রা সফরে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমে রিপোর্ট বেরিয়েছে। ভারতের তরফে কোনও শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধির সেখানে উপস্থিত থাকার সরকারি বার্তা নেই।’ বিবৃতি আরও বলা হয়েছে তাজমহল সফরের মূল্য লক্ষ্য, শুধুই মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর স্ত্রীর ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধ দর্শন ছাড়া আর কিছুই না। দুই রাষ্ট্রনায়ক যাবতীয় দ্বিপাক্ষিক আলোচনা পর্ব সারবেন আমেদাবাদ এবং দিল্লীতেই।
যদিও আমেরিকার তরফে সাংবাদিক সম্মেলনে সরকারের এক শীর্ষ কর্তা ঘোষণা করেছিলেন, আহমেদাবাদে নামার পর সেখানে মোদীর সঙ্গে অনুষ্ঠান সেরে তাঁর সঙ্গেই ডোনাল্ড এবং মেলানিয়া ট্রাম্প আগ্রায় গিয়ে তাজমহল দেখবেন। আগ্রা থেকে তারপর রাতে দিল্লী পৌঁছবেন তারা। পরদিন সেখানে আরেকপ্রস্থ অনুষ্ঠান সেরে আমেরিকা ফিরবেন।
দুই দেশের সরকারি সূত্রের এহেন পারস্পরিক বিপরীত ঘোষণায় স্বভাবতই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। অন্য সর্বত্র তাঁর ‘প্রিয় বন্ধুকে’ সঙ্গ দিলেও তাজমহলে কেন ট্রাম্প দম্পতির সঙ্গে যাচ্ছেন না মোদী, তা নিয়েও দুভাগ দেশের বিশেষজ্ঞ মহল। একপক্ষের মতে, বিজেপি যেহেতু বরাবর দাবি করে এসেছে শিব মন্দিরের উপর বানানো হয়েছে তাজমহল, যা আসলে মুঘল সম্রাট শাহজাহান এবং তাঁর প্রিয়তমা বেগম মুমতাজ মহলের সমাধি। সেই কারণেই সম্ভবত তাজমহল সফর এড়িয়ে যাচ্ছেন মোদী। আরেকপক্ষ মনে করছে, পৃথিবীর অন্যতম আশ্চর্য, এই ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধে রাজনৈতিক রং যাতে না লাগে সেকারণেই ট্রাম্পের তাজমহল সফরে থাকবেন না মোদী।