একের পর এক ম্যাচ হার। জয় শব্দটাই বোধহয় ভুলে গেছেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। এদিন অবশ্য হারতে হয়নি লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। তবে এগিয়ে থেকেও পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে জিততে পারল না শতবর্ষে পা দেওয়া ক্লাব। ড্র করেই থামতে হল। ফলে আই লিগে অবনমনের কালো মেঘ সরল না। যার পরে ফের একবার প্রশ্ন উঠে গেল যে, ইস্টবেঙ্গলের অভিধান থেকে কি তাহলে জয় শব্দটা উধাও হয়ে গেল!
এদিন খেলা শুরুর ৯ মিনিটের মাথাতেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। পাঞ্জাব বক্সের বাইরে বল ধরে একক মুন্সিয়ানায় গোল করেন লাইবেরিয়ান স্ট্রাইকার আনসুমানা ক্রোমা। কিন্তু এরপর খেলা ধরে রাখতে পারেনি লাল-হলুদ। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময় থেকেই খেলায় ফেরে পাঞ্জাব। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে লাল-হলুদ বক্সে।
বৃথা যায়নি পাঞ্জাবের এই চেষ্টা। হাফটাইমের আগেই সমতায় ফেরে তাঁরা। ৪০ মিনিটের মাথায় গিরিক খোসলার অসামান্য গোলে ১-১ করে পাঞ্জাব। বক্সের বাইরে থেকে ভেসে আসা সেন্টার শরীর ছুড়ে ভলি মেরে বল জালে জড়িয়ে দেন। এরপর সারা দ্বিতীয়ার্ধে অনেকবার আক্রমণ করলেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। বরং সঞ্জু প্রধান, কেভিন লোবোরা মাঝে মাঝেই বেগ পাইয়ে দেন ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে। এদিকে, ৭৩ মিনিটের মাথায় ক্রোমার শট গোললাইন সেভ করেন বাগানের প্রাক্তনী কিংসলে।
এদিন জোড়া স্ট্রাইকারে দল সাজিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিও রিভেরা। শুরু থেকেই খেলিয়েছিলেন মার্কোস এস্পাদা এবং ক্রোমাকে। কিন্তু কোথায় কী। ইস্টবেঙ্গল রইল ইস্টবেঙ্গলেই। বরং পাঞ্জাবের স্ট্রাইকার দিপাণ্ডা দিকা পরিবর্ত হিসেবে নেমে ত্রাহি ত্রাহি রব তুলে দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে। এত বিপর্যয়ের পরও এদিন কল্যাণীতে গিয়েছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু হাসি ফুটল না। ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্টে দাঁড়াল লাল-হলুদ। গত ম্যাচে হারের পরও মারিও বলেছিলেন, এখনও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। কিন্তু তা যে কেবল সান্ত্বনার গ্যাস বেলুন, তা ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল।