কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরও অ্যাম্বুল্যান্সে প্রসূতি থাকার কথা মানতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এখনও তিনি দাবি করছেন, তৃণমূলের চক্রান্তেই ইচ্ছা করে সভাস্থলে খালি অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকানো হয়েছিল। আর গোটাটাই ছিল প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত।
শেওড়াফুলিতে সিএএ-র সমর্থনে সভায় দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘একটা খবর ছড়ানো হচ্ছে, ভিডিও চলছে, সেদিন ২৫ হাজার লোকের সভা চলছিল কৃষ্ণনগরের তেমাথায়। ফাঁকা অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকিয়ে দেওয়া হল। আমি বলেছিলাম, এতগুলো লোক বসে আছে, অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে নাও। সভায় অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকানোর পরিকল্পনা করেছিল পিকে। তৃণমূল নিজের বুদ্ধিকে পিকের কাছে বন্ধক দিয়েছে। ঘরদোর, পার্টি সব কিছুই বন্ধক দিয়েছে বিহার থেকে আসা এক মাসতুতো ভাইকে।’
ঠিক কী হয়েছিল সেদিন? অভিযোগ, গত ৬ জানুয়ারি কৃষ্ণনগরে অভিনন্দন যাত্রার শেষে জেলাশাসকের অফিসের সামনে সভা চলাকালীন একটি অ্যাম্বুল্যান্স চলে আসে। সেই অ্যাম্বুল্যান্সকে অন্য রাস্তায় ঘুরিয়ে দেন দিলীপ ঘোষ। নিদান দেন, এখান দিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। লোকে রাস্তায় বসে আছে। বিরক্ত হবেন ওনারা। ঘুরিয়ে অন্য দিক দিয়ে চলে যান। দিলীপের এমন হুঙ্কারের পর অ্যাম্বুল্যান্স ঘুরিয়ে নিতে বাধ্য হন চালক। তখন রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘সভা বানচাল করতে চক্রান্ত করে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়েছিল তৃণমূল।’
পরে দিলীপ দাবি করেন,অ্যাম্বুল্যান্স খালি ছিল। ভিতরে রোগী ছিলেন না। অ্যাম্বুল্যান্স অন্য পথ দিয়ে যাওয়ার রাস্তা ছিল। দরকার হলে এমন কাজ আবার করব। এই খবর চাউর হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই অ্যাম্বুল্যান্সে এক প্রসূতি ছিলেন। ধুবুলিয়াতে বাড়ি ওই প্রসূতির। সেদিন কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁকে। এরপরই এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয় থানায়।