প্রধানমন্ত্রীকে সিএএ–এনআরসি নিয়ে পুনর্বিবেচনা করতে এবং সেটা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। শনিবার বিকেলে রাজভবনে প্রায় ৩০ মিনিটের বৈঠক শেষে রাজভবনের বাইরে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠকের শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, দেখুন আপনি আমাদের রাজ্যে এসেছেন অতিথি হয়ে। এটা আমার বলা উচিত কিনা জানি না। কিন্তু আমার এটা মনে হয়েছে বলে বলছি, আমরা সিএএ, এনআরসি, এনপিআর-এর বিরুদ্ধে। এই তিনটের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে দেশজুড়ে। আমরা চাই মানষে-মানুষে বৈষম্য হওয়া উচিত নয়। কোনও মানুষ যেন দেশ থেকে বাদ না যায়। কোনও মানুষের প্রতি যেন অত্যাচার না হয় সেটা দেখার জন্য বলেছি। আমি বলেছি, আমরা চাই আপনারা সিএএ-এনআরসি নিয়ে আরেকবার ভাবনাচিন্তা করুন। আমরা চাই আপনারা এটা প্রত্যাহার করুন। উনি বলেছেন এটা নিয়ে দিল্লীতে পরে কথা বলে নেবেন।’
https://www.facebook.com/ekhonkhobor18/videos/2171812483113621/
বিভিন্ন খাতে রাজ্যের বকেয়া ২৮০০০ কোটি টাকা এবং বুলবুল খাতে রাজ্যের পাওনা ৭০০০ কোটি টাকা, মোট ৩৮০০০ কোটি বকেয়া টাকা যাতে কেন্দ্র মিটিয়ে দেয় সেকথা এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাবন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সব কাগজপত্র দেখে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা আরও জানান, সাংবিধানিক দায়িত্বের কারণেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সফরে বিক্ষোভের ইঙ্গিত থাকায় আগে থেকেই সারা রাজভবনজুড়ে এসপিজি মোতায়েন করা হয়। রাজভবনের বাইরেও মোতায়েন করা হয় প্রচুর সংখ্যক পুলিসকর্মী। আন্দোলনকারীরা রাজভবন অভিযানের পরিকল্পনা করলেও তাঁদের আটকে দেয় পুলিস। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, সাধারণ মানুষ এবং দলীয় পতাকা ছাড়া জাতীয় পতাকা হাতে রাজনৈতিক দলের সদস্যরা বিক্ষোভে অংশ নেন।