কে কেমন কাজ করছেন, কার কাজ কতটা বাকি আছে, এলাকায় কার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচী কারা পালন করেছে- সবেরই হিসেব তৈরি রেখেছে দল। সেই রিপোর্ট দেখেই দলনেত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন, কাকে কাকে প্রার্থী করা হবে। অর্থাৎ কাজ এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ভিত্তিতেই মিলবে ভোটের টিকিট। ‘দাদা-দিদি’র কাছে তদ্বির করে লাভ নেই। কলকাতার বিধায়ক ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, পুরভোটের আর কয়েক মাস। তাই শুক্রবার ‘দিদিকে বলো’র পর্যালোচনা বৈঠকে ডাক পড়েছিল কলকাতার সব বিধায়ক এবং কাউন্সিলরদের। সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অভিষেক- প্রত্যেকেই সেখানে নিজের নিজের বক্তব্য পেশ করেন। সূত্রের দাবি, গতকাল অভিষেক এই বার্তা দিয়েছেন যে, পুরভোটে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে মাপকাঠি হবে টিকিট প্রত্যাশীর ভাবমূর্তি, কাজের খতিয়ান এবং জনসংযোগ। তিনি বলেছেন, ‘কারও নেগেটিভ মার্কিং থাকলে টিকিট দেওয়া যাবে না। দাদা-দিদি ধরে লাভ নেই।’
কোনও নেতার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হলে তা মেনে নেওয়া হবে না বলেও জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করেছেন দলের যুব সভাপতি। জনসংযোগ এবং পরিষেবা দেওয়ার প্রশ্নে রং না-দেখার বার্তাও দেওয়া হয়েছে দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের তরফে। অন্যদিকে, দলের নির্বাচনী-পরামর্শদাতা হিসেবে প্রশান্ত কিশোরও জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েছেন, ভোটে জেতার দায়িত্বটা প্রার্থীদেরই। তিনি শুধু জনসংযোগের পথ মসৃণ করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে তাঁর ভূমিকা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন পিকে। কলকাতার বৈঠকের দিনে কতকটা একই সুরে তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের এখানে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। তাই আপনারা আমার থেকে বাংলার রাজনীতি থেকে অনেক ভাল বোঝেন। আমি শুধু আপনাদের জনসংযোগের একটা বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি গড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। দিদিকে বলো যত বেশি করবেন তত সুফল পাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তির মতোই নিজেদের ভাবমূর্তি তৈরি করুন।’