গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি। নিজের পাড়ার সরস্বতী পুজো উদ্বোধন করতে গিয়ে আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন রানাঘাটের কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ রায়। নৃশংস এই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। অভিযোগের আঙুল উঠেছিল বিজেপির দিকে। তদন্ত চলেছে ঝড়ের গতিতে। এবার এই ঘটনায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। শুধু মুকুল রায় নন, এই মামলাতেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধেও। গোটা ঘটনায় ওই দুই বিজেপি নেতার পাশাপাশি চাপে পড়ল রাজ্য বিজেপিও।
জনবহুল এলাকায় ঘটা এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোরও। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে যোগ পায় মুকুল রায়ের। তদন্তের মাঝেই মুকুল বলেন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে তাঁকে। জেনে বুঝে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থের জন্য বিজেপির বিরুদ্ধে মামলা সাজানো হচ্ছে।
যদিও এই খুনের মামলায় আদালতের থেকে আগাম জামিনও পেয়ে যান মুকুল। ঘটনার পুলিশি তদন্তে মুকুলের পাশাপাশি উঠে আসে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নামও। দীর্ঘ দিন ধরে চলা সেই মামলায় এবার ওই দুই রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। যার ফলে সত্যজিৎ খুনে মুকুল রায়দের উপর চাপ যে বেশ বাড়ল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।