সাল ২০১৪। দেশজুড়ে বিজেপির রাজনৈতিক মঞ্চে গলা ফাটিয়ে ‘আচ্ছে দিন’-এর স্বপ্ন তখন ফেরি করে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে বড়বড় করে লেখা আসছে আচ্ছে দিন। আচ্ছে দিনের ‘খুড়োর কলে’ চেপে দিল্লীর গদিও দখল করেছেন তাঁরা। তবে ৬ বছর কেটে যাওয়ার পর মোদী-শাহের প্রতিশ্রুতি মতো আচ্ছে দিন নাকি আজও আসেনি এমনটাই দাবি ঝাড়খণ্ডের রাঁচির এক আইনজীবীর। দেশবাসীকে মিথ্যা কথা বলে ভোট নেওয়ার অভিযোগে এবার দেশের প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হলেন আইজীবী এইচ কে সিং।
ওই আইনজীবীর অভিযোগ ক্ষমতায় আসতে দেশবাসীকে ভুরি ভুরি মিথ্যা কথা বলেছেন বিজেপির ওই দুই শীর্ষ নেতা। তাঁর অভিযোগ পত্রে তিনি লিখেছেন, নির্বাচনের আগে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেশবাসীকে দেবেন বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদীরা। কিন্তু ভোটে জেতার পর ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে স্পষ্ট জানালেন ও কথা তিনি বলেননি। সাধারণ মানুষতো দুরের কথা একজন আইনজীবী হয়ে আমিও মোদী শাহের কাছে প্রতারিত। সিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মোদী-শাহদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ৪১৫, ৪২০ ও ১২৩(বি) ধারায়। দায়ের হওয়া এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখে। এদিকে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ও কংগ্রেসের রাজনৈতিক তরজা জমে উঠেছে বেশ ভালোই।
কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, ‘দেশের মানুষ অবশেষে মিথ্যাবাদী বিজেপির বিরুদ্ধে নিজেদের রাগ প্রকাশ করতে শুরু করেছে। কেন্দ্রের সরকার যে পুরোপুরি মিথ্যাবাদী তা বুঝতে শুরু করেছে দেশবাসী। তাই এই ধরণের অভিযোগ দায়ের হচ্ছে।’ এদিকে কংগ্রেসের বক্তব্যের পাল্টা দিয়ে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, ‘দীর্ঘ ৬ বছর পর এই ঘটনা নিয়ে যদি কেউ মামলা দায়ের করেন তবে এর কোনও ভিত্তি নেই। এই ঘটনা পুরোপুরি লোকদেখানো। আর মোদী বা শাহ কেউ কোনও দিন ১৫ লক্ষ টাকা অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেননি। পুরোটাই মিথ্যা কথা। উনি কি বলেছিলেন সেটা কংগ্রেসকে আগে ভাল করে শুনতে বলুন।’