একেই বলে বাঘের ঘরে ঘোঘের বাসা। তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন খোদ প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশের স্ত্রী। অবশ্য রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত তিনি। এলাকায় তিনি দাপুটে বিজেপি নেত্রী। অভিযোগ, এক টেম্পো মালিকের কাছ থেকে তিনি নাকি ৫ লক্ষ টাকা তোলা আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন। এমনকী, নিজের ভুয়ো পরিচয়ও তিনি দেন বলে অভিযোগ।
ধৃত ওই মহিলার নাম ভারতী দামোদর চৌধুরি। বয়স ৫২ বছর। এসিপি দামোদর চৌধুরির স্ত্রী তিনি। এসিপি সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন। অভিযোগ, তোলাবাজির সময় স্বামীর পরিচয় কাজে লাগাতেন ভারতী। এমনকী নিজেকে তিনি পুলিশ অফিসার বলেও অভিযোগ দিয়েছেন। যদিও তিনি নিজে বিজেপি নেত্রী। ভারতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন দহিসরের বাসিন্দা দীপক গুপ্তা। তাঁর অভিযোগ, ভেন্ডি বাজারে তিনি পান মশলার বাক্স পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু ভিখরোলির কাছে তাঁর টেম্পোর পথ আটকানো হয়। সামনেই দাঁড়িয়ে ছিল একটি গাড়ি। সেখানে ছিলেন এক ব্যক্তি ও এক মহিলা। নিজেদের তাঁরা পুলিশ অফিসার বলে পরিচয় দেন। এর পরই ঘটে আসল ঘটনা।
অভিযোগ, ওই মহিলা এরপর বলেন, ওই টেম্পোতে নাকি গুটখা পাচার হচ্ছে। এই নিয়ে চালকের সঙ্গে তাঁর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তখনই ওই মহিলা নিজেকে পুলিশ অফিসার পরিচয় দেন। টেম্পো চালককে নির্দেশ দেন, তখনই যেন তিনি মালিককে ফোন করেন। এও বলেন, ৫ লক্ষ টাকা দিলে মামলা সেখানেই দফারফা হয়ে যাবে।
এই ঘটনার পর সচরাচর কেউ থানামুখো হন না। কিন্তু দীপক গুপ্তা তা করেননি। তিনি পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানান। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ওই মহিলা ও তাঁর সহযোগীকে আটক করা হয়। তখনই জানা যায় মহিলার আসল পরিচয়। জানা যায়, তিনি প্রাক্তন এসিপি দামোদর চৌধুরির স্ত্রী। তার সঙ্গে যে ব্যক্তি ছিল, তার নাম চন্দন যাদব। বয়স ৩০ বছর। সে থানের বাসিন্দা। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে দামোদর চৌধুরির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা দায়ের হয়েছিল।