বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির কারণে যখন ভারতের অহিন্দী রাজ্যগুলো হিন্দী আগ্রাসনের মুখে এবং কিছু মাস আগেই আমাদের রাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ হিন্দীকে ভারতের রাষ্ট্র ভাষা করার প্রস্তাব দেন তখন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ওয়েবসাইটে হিন্দী ডিপার্টমেন্টের অংশে লেখা থাকে “হিন্দী ভারতের রাষ্ট্র ভাষা এবং বেশিরভাগ ভারতীয় এই ভাষা বোঝে।” এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করে জাতীয় বাংলা সম্মেলন। সংগঠনের এক অন্যতম সদস্য সন্দীপন মিত্র তার ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন “হিন্দী আমাদের রাষ্ট্র ভাষা না এবং হিন্দী বেশিরভাগ ভারতীয় বোঝে না। ২০১১ জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৪৩.৬৩% ভারতীয় হিন্দী বোঝে”। তার কিছুক্ষণ পর কলেজ কতৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইট থেকে এই অংশটা বাতিল করে।
২০১০ সালে গুজরাট হাই কোর্টের মহামান্য বিচারপতিরা একটি জনস্বার্থ মামলার রায় ঘোষণার সময় জানিয়ে দেন “হিন্দী ভারতের রাষ্ট্র ভাষা এমন কোনো বিজ্ঞপ্তি কোনো দিন সরকার জারি করেনি”। এবং সংসদেও যখন এই নিরিখে প্রশ্ন করা হয় তখন সরকার পরিষ্কার জানিয়ে দেয় যে হিন্দী আমাদের রাষ্ট্র ভাষা নয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতার এক অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কিভাবে হিন্দীকে রাষ্ট্রভাষা বলে ঘোষণা করে দেয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।