একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মানিকতলা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সাধন পান্ডের কাছে হেরে যাওয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে ওই কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গণনার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কল্যাণ চৌবে। অভিযোগ, মামলার শুনানির জন্য কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দেননি তিনি। মামলার কাজেও আদালতের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন না। বরং ইচ্ছাকৃতভাবেই আদালতের আদেশ অমান্য করেছেন। সংশ্লিষ্ট মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা না দিলে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিল শীর্ষ আদালত। তাঁকে শো-কজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বিজেপি নেতা কল্যাণ বর্তমানে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) সভাপতি এবং ভারতীয় ওলিম্পিক্স সংস্থার (আইওএ) যুগ্ম-সচিব। শুক্রবার তাঁকে শো-কজের নোটিস দিয়েছে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি পি এস নরসিমহার বেঞ্চ। কেন তাঁকে এই দু’টি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না, তার জবাবই চাওয়া হয়েছে কল্যাণের কাছ থেকে। এদিকে, কল্যাণ কলকাতা হাইকোর্টে নির্বাচনী পিটিশন দায়ের করায় মানিকতলা কেন্দ্রে এখনও উপনির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। অভিযোগ, এআইএফএফ এবং আইওএ-র প্রশাসনিক কাজ নিয়ে ব্যস্ততার অজুহাতে তিনি আদালতে গরহাজির থাকছেন। তাই দেশের শীর্ষ আদালত তাঁকে তীব্র ভর্ৎসনা করে বলেছে, আপনাকে ওই দু’টি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত।