দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার অর্থাৎ এনপিআর এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি অর্থাৎ এনআরসি-র মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। আবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর মুখে অন্য কথা। তাঁর বক্তব্য, এনপিআরে নথিভুক্ত নাগরিকদের তথ্য এনআরসির কাজে ব্যবহার করা হতেও পারে। আবার নাও পারে। চারিদিক থেকে তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও ঝেড়ে কাশছেন না বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা। বারবার ধন্দ জিইয়ে রাখছেন।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং এনআরসি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে এনপিআর। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যে রাজ্যে এনপিআর করবে কেন্দ্র। এনপিআরে নাগরিকদের থেকে যে তথ্য পাওয়া যাবে, সেই তথ্যই এনআরসি প্রক্রিয়ায় কাজে লাগাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। আর সেই কারণেই বলা হচ্ছে, এনপিআরই এনআরসির প্রথম ধাপ। এই ধন্দ কাটানো তো দূর, প্রধানমন্ত্রী–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উল্টো সুর আইনমন্ত্রী রবিশঙ্করের মুখে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘একটা অবস্থান নেওয়া হয়েছে। তবে আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে সেই নিয়ে। তারপর বিষয়টি যাচাই করে দেখা হবে। শলাপরামর্শ করা হবে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গেও। যদি কিছু করা হয়, তা প্রকাশ্যেই করা হবে। লুকিয়ে–চুরিয়ে কিছুই হবে না। আইন মেনেই গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এনপিআর–এর কিছু তথ্য এনআরসি–তে ব্যবহার করা হতেও পারে আবার না-ও হতে পারে।’