রাজ্যের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝ। বাধা কাটিয়ে বইতে শুরু করেছে উত্তরে হাওয়া। আর এই সুযোগেই কয়েক দিনের বিরতির পর ফের দাপিয়ে ব্যাট করতে শুরু করেছে শীত। দাপট এতটাই যে, পাহাড় থেকে সমতল, সব জায়গাতেই হাড় হিম করা ঠান্ডা পড়ে গিয়েছে যেন এক রাতের ব্যবধানেই। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.১ ডিগ্রি যা কিনা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি কম।
গত সপ্তাহে ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মরসুমের শীতলতম দিন ছিল। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ১১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম ছিল। সেবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৮ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গতবারের তুলনায় নেমেছে আরও তিন ডিগ্রি নীচে। ১৮ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন পারদ ছিল ১৫.৬ ডিগ্রি। একধাক্কায় চার ডিগ্রি নীচে পারদ নেমেছিল। আজ অবশ্য তা হয়নি। বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টির পর শুক্রবার এক ধাক্কায় তিন ডিগ্রি নেমেছিল পারদ। ১৫ থেকে ১২ হয়েছিল। এদিন শনিবার আরও এক ডিগ্রি নেমেছে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে যে, বছরের শুরুতেই বৃষ্টি হবে। ১ লা জানুয়ারি থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃষ্টিতে ভিজবে শহর কলকাতা। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলাতেও এই বৃষ্টিপাত হবে বলে পূর্বাভাসে জানাচ্ছে আলিপুর হাওয়া অফিস। বৃষ্টির পাশাপাশি জাঁকিয়ে ঠান্ডারও আভাস দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। বৃষ্টির কারণে এক ধাক্কায় নেমেছে শহরের তাপমাত্রা।
আবহবিজ্ঞানের পরিভাষায়, শীতকালে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যদি ১০ ডিগ্রি বা তার নীচে পৌঁছয় এবং তা যদি স্বাভাবিকের থেকে ন্যূনতম পাঁচ ডিগ্রি কম হয়, সেটাকেই বলে শৈত্যপ্রবাহ। রাতের তাপমাত্রা যদি ১০ ডিগ্রিতে পৌঁছয় ও সেই অবস্থায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যদি স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি কম থাকে, তা হলে বলা হয় শীতল দিন। বর্ষশেষে এই দু’টিরই সম্ভাবনা প্রবল বলে জানাচ্ছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় জবুথবু অবস্থা দিল্লীবাসীর। শনিবার দিল্লীতে মরশুমের শীতলতম দিন আজ। শুধু তাই নয়, আরও রেকর্ড রয়েছে শীতকালীন দিল্লীতে। আজ দিল্লীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মরশুমের শীতলতম দিন তো বটেই দ্বিতীয় শীতলতম ডিসেম্বরের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে দেশের রাজধানী। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর ১৯০১ সালের পর এমনতর শীতল ডিসেম্বর এর আগে কখনও দেখেনি দিল্লিবাসী। আজ ঙোর ৬টা বেজে ১০ মিনিটে দিল্লির তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ২.৪ ডিগ্রিতে। কুয়াশায় ঢেকে যায় দিল্লির বিভিন্ন এলাকা। রেল, সড়ক পথে যান চলাচলে বিঘ্নতো ঘটেই সবথেকে বেশি বিপর্যস্ত হয় বিমান ওঠা নামার ক্ষেত্রে। কারণ দৃশ্যমানতা একেবারেই ছিল না বলললেই চলে।