সিএএ নিয়ে যে বিপুল বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তাতে চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। ঝাড়খণ্ডের ভোটের ফলেও তার প্রভাব পড়েছে বলে মানছেন দলের শীর্ষমহলই। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা পিছু হটছেন অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রীর সুরেই সুর মিলিয়ে বলেছেন, ‘এই বিষয়ে কোনও বিতর্কই হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একদম ঠিক কথাই বলেছেন। সংসদে বা ক্যাবিনেটে কোথাও এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।’ কিন্তু দলের শীর্ষ নেতারা যাই বলুন, বাংলার রাজ্য বিজেপি নেতারা তার পরোয়া না করেই এনআরসি নিয়ে হুঁশিয়ারি অব্যাহত রেখেছেন। আর সেই তালিকার প্রথম নাম অবশ্যই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তাঁর কথায়, ‘আমরা বলেছি প্রয়োজন হলে এনআরসি হবে। আমিই বলেছিলাম, আসামে যদি হয় তাহলে বাংলাতেও এনআরসি হোক। কারণ এখানে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশ হয়েছে। তবে এনআরসি কবে হবে, এ নিয়ে কথাই হয়নি। যখন দরকার হবে তখন নিশ্চয়ই এনআরসি হবে। যদি ৩৭০ হতে পারে, এটা হবে না কেন? আমরা চাই এনআরসি হোক।’
দিলীপ ঘোষ যখন এমন কথা বলছেন, তখন অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদীরা সম্পূর্ণ উলটো কথাই বলছেন। সেখানে এনআরসি নিয়ে বিজেপির কেন্দ্র ও রাজ্য নেতৃত্বের সেতুবন্ধনের অভাব দিনদিন আরও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এদিন বিষয়টি কটাক্ষ করেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কলকাতায় মিছিল শেষে মমতা বলেন, ‘বিজেপি নানা জায়গায় নানা কথা বলে বেড়াচ্ছে। কোনও কথার সঙ্গেই আরেকটার মিল নেই। কীভাবে বিশ্বাস করবেন এদের?’