‘বাংলায় এনআরসি হবে না’ বলে প্রথম তোপটা দেগেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে ‘এনআরসি? সেটা আবার কী? ও লাগু করে কী হবে?’ বলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন এনআরসির পক্ষে নন তিনিও। এবার মমতা-নীতিশের সুরেই এনডিএর শরিক দল এলজেপি জানিয়ে দিল তারাও এনআরসিতে রাজি নয়। আগে এনআরসির ড্রাফট দেখে সবকিছু বিচার বিবেচনা করা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত হবে এই ধরনের কোনও আইনকে তাঁরা সমর্থন করবেন কি না। লোক জনশক্তি পার্টির তরফে এমনটাই জানিয়ে দিলেন চিরাগ পাসোয়ান।
একের পর এক টুইটে চিরাগ লেখেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল আমরা দলীয় বৈঠক করেছিলাম। এবং সেই বৈঠকের নির্যাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেভাবে দেশজুড়ে ক্যাব ও এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভ চড়ে উঠেছে তাতে একটা বিষয় বেশ স্পষ্ট দেশের বেশীরভাগ মানুষের মনে এই বিষয়ে যে অন্ধকার রয়েছে তা দূর করতে সরকার বিফল।’ এরপর আরও একটি টুইটে এলজিপি লেখে, ‘লোকসভা ও রাজ্যসভায় এই বিল পাশ হয়ে যাওয়ার পর এই বিলকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে যে অশান্তি হচ্ছে, তা আগে থেকেই আমরা অনুমান করেছিলাম। এমন পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তার জন্য এই বিল লোকসভায় আসার আগে সমস্ত এনডিএ দলের একটি বৈঠক করার জন্য আমরা অনুরধ করেছিলাম।’
একইসঙ্গে তিনি আরও জানান, ‘আগামী দিনে যদি এনআরসি সমর্থন করার প্রয়োজন পড়ে সেক্ষেত্রে সেই বিলের খসড়া পুরোটা না পড়া অবধি বিলকে সমর্থন করবে না এলজেপি।’ পাশাপাশি এনডিএর শরিক দলের প্রেসিডেন্ট আরও জানান, ‘এনআরসির প্রতিবাদে দেশজুড়ে বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে তা সমাধান করার জন্য মানুষকে বোঝানোর দায়ও সরকারের। একজন সহযোগী দল হিসাবে সরকারের কাছে আমার অনুরোধ দেশের মানুষকে গোটা বিষয়টি বোঝান।’