বৃহস্পতিবারই বদলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে ফের মৃত্যু হল ৬ আন্দোলনকারীর। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্যের ডিজি ও পি সিং। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা একটিও গুলি চালাইনি। যদি কোনও গুলি চলে থাকে, তা চালানো হয়েছে বিক্ষোভকারীদের দিক থেকেই।’ তবে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশের গুলিতেই তাঁদের সহযোদ্ধাদের মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে শুক্রবারও উত্তাল ছিল গোটা দেশ। নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করেই গতকাল ফের আগুন জ্বলে যোগীর রাজ্যে। গতকাল জুম্মার নামাজ উপলক্ষে কড়া সতর্কতা ছিল বিভিন্ন এলাকায়। তা সত্ত্বেও রাজ্যের ১৩টি জেলায় নতুন উদ্যমে রাস্তায় নামেন বিক্ষোভকারীরা। সকালের নামাজের পরে এমন এমন জায়গায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে, যেখানে গতকাল অশান্তির লেশমাত্র ছিল না।
কানপুর, ফিরোজাবাদ, গোরক্ষপুর, দেওবন্দ, মুজফফরনগর, বুলন্দশহর, মিরাট, হাপুর, শামলি-সহ একাধিক জায়গায় উত্তেজনা চরমে ওঠে। একের পর এক গাড়িতে আগুন ধরানোর পাশাপাশি পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। কানপুরের বাবুপুর্বা, গোরক্ষপুরের খুনিপুর, ঘণ্টাঘর, শাহমারুফ, নাখাস, ইসমাইলপুরে উত্তেজিত জনতাকে সরাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। একই অবস্থা ছিল ফিরোজাবাদ, শামলি, হাপুর, মুজফফরনগর, দেওবন্দে।
উল্লেখ্য, শুক্রবারের বিক্ষোভের জেরে উত্তর প্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০। যদিও পুলিশ ছয় জনের বেশি মৃত বলে মানতে নারাজ। কিন্তু হাসপাতালগুলো থেকে পাওয়া তথ্য জানাচ্ছে যে শুধুমাত্র শুক্রবারের বিক্ষোভের জেরেই যোগীরাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এই নিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় সিএএ বিরোধী প্রতিবাদে ১১ জনের মৃত্যু হল।