ক্যাব এনে মোদী সরকার বেশ অস্বস্তিতে। দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদের আগুন। বিশেষ করে এই আগুনে পুড়ছে উত্তর-পূর্ব ভারত। এই আইনের দ্বারা বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আগত শরণার্থীদের দেশ ছাড়ার ফরমান জারি করবে মোদী সরকার। দেশের নাগরিক হয়েও নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে সবাইকে। ফলে চাপে শরণার্থীরা। এই আইনের প্রতিবাদে সরব বিভিন্ন মহল। এর মধ্যেই কেন্দ্রের নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে মুখ খুললেন বাংলার বিদ্বজ্জনেরা। একইসঙ্গে বিক্ষোভের নামে হিংসাত্মক ঘটনারও নিন্দা করেছেন তাঁরা।
সাংবাদিক বৈঠকে শুভাপ্রসন্ন বলেন, কেন্দ্রের শাসকদলের একের পর এক ভ্রান্ত নীতির ফলে বিধ্বস্ত, হতাশাগ্রস্ত। তার প্রতিবাদ হওয়া প্রয়োজন। তবে রাজ্যে ধ্বংসের মধ্য দিয়ে আন্দোলনকে বিচ্যুত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এমনকী গোটা ঘটনার মধ্যে চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন তিনি।
এ দিকে, মোদী সরকারকে আরও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন জয় গোস্বামী। তিনি বলেন, ‘২০০২ সালে গুজরাটে যাদের সময় গণহত্যা হয়েছিল তারাই এখন দিল্লীতে ফ্যাসিবাদী শাসন চালাচ্ছে। আশা করি বাংলার সব ধর্মের মানুষ এক হয়ে বিদ্বেষের এই বীজ প্রতিহত করতে পারবে।’ আর এনআরসি ও ক্যাব বিরোধী আন্দোলনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরে আস্থা রাখার জন্য রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন করেছেন সাহিত্যিক আবুল বাসার। তাঁর বক্তব্যের প্রতিধ্বনী শোনা গিয়েছে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনে মমতাকে চাই। তেমনই গোটা ভারতের মানুষকে একসঙ্গে ক্ষোভ দেখাতে হবে। না হলে এই বিপদকে দূর করা যাবে না।’ কবীর সুমন বলেন, রাজ্যের মানুষের প্রতি আবেদন করে বলেন ‘মরে গেলেও একটিও ডকুমেন্ট জমা দেবেন না।’