লোকসভা নির্বাচনের আবহেই নতুন বিতর্কে কেন্দ্রে মোদী সরকার। বিজেপির জমানায় কেন্দ্রের আধা সামরিক বাহিনীগুলি থেকে জওয়ান, অফিসারদের অনেকেই চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের খবর অনুযায়ী ২০১৯ থেকে ২০২৩, এই পাঁচ বছরে ছয়টি আধা সামরিক বাহিনী থেকে মোট জওয়ান ও অফিসার মিলিয়ে ৪৬ হাজার জন চাকরি ছেড়েছেন। তার মধ্যে বিএসএফ বা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ২১ হাজার জওয়ান ও অফিসার রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে চাকরি ছাড়ার হিড়িক আটকাতে বিএসএফে জওয়ান ও অফিসারদের পছন্দের জায়গায় বদলির সুবিধা চালু হতে চলেছে। যুক্ত হতে চলেছে আরও কিছু সুবিধা। তারমধ্যে অন্যতম হল, জওয়ান, অফিসারেরা বাৎসরিক ছুটিতে থাকার সময় বিমানে যাওয়া-আসার সুবিধা পাবেন। আধা সেনার মধ্যে চাকরি ছাড়ার প্রবণতা নতুন নয়। তবে সাম্প্রতিক অতীতে তা বেড়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কাজের ধরন এবং ঘন ঘন বদলিতে বিরক্ত জওয়ান, অফিসারেরা। তার প্রধান কারণ নির্দিষ্ট কাজের সঙ্গে তাদের অন্যান্য ডিউটিও করতে হচ্ছে। সেই কারণে ঘন ঘন বদলিও হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্ত পাহারা দেয় বিএসএফ। ওয়াকিবহাল মহলের খবর, দাঙ্গা থেকে নির্বাচন, সব কাজেই ডাক পড়ে তাদের। একই কথা প্রয়োজ্য কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষেত্রেও। ওই বাহিনী তৈরি করা হয় কলকারখানাকে নিরাপত্তা দিতে। অথচ, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা থেকে শুরু করে ঘটনা-দুর্ঘটনায় ছুটতে হয় ওই বাহিনীকেও। সেনা বাহিনীর সঙ্গে আধা সেনার কাজের এখানেও বড় তফাত। সেনা বাহিনীতে সাধারণত তিন বছরের জন্য বদলি করা হয়। দুর্গম কিছু এলাকা বাদে বাকি জায়গায় সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট এবং পরিবার নিয়ে থাকার সুযোগ রয়েছে। আধা সেনায় সেই সুযোগ সীমিত। ঘন ঘন বদলি হতে হয়। এর ফলে মানসিক অসুস্থতা বাড়ছে। ছুটি না পাওয়ায় অনেক জওয়ান পদস্থ অফিসারের সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে পড়েছেন, এমনকী আত্মহত্যার পথও বেছে নিয়েছেন অনেকে। যা নিয়ে নিন্দার মুখে পড়েছে মোদী সরকার।