বারবার ধেয়ে এসেছে দুর্যোগের করাল থাবা। ভাঙনের গ্রাসে একের পর এক জমি তলিয়ে গিয়েছে নদীর অতলে। সর্বহারা হয়েছে মানুষ। এরপরও পাশে দাঁড়ায়নি মোদী সরকার। মালদহের ভাঙন সমস্যার কথা কেন্দ্রের কাছে জানিয়েও কোনও সাহায্য পায় নি রাজ্য। এরপরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার থেকেছে মানুষের পাশে। তাই আর নয়, ভাঙন মোকাবিলা ও উন্নয়ন করতে পারে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস। স্পষ্টতই তা জানালেন ভাঙন দুর্গতরা। বিগত পাঁচ বছরে সাংসদ হয়ে এলাকায় কোনও উন্নয়ন করেননি বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। উত্তর মালদহের ৮৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও একটি পুরসভা এলাকায় উন্নয়নের চিহ্ন পর্যন্ত দেখা যায়নি। আর দক্ষিণ মালদহের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী তিনি উন্নয়ন তো দূরের কথা সংসদও পর্যন্ত যায় না। বিগত ১৫ বছরে দক্ষিণ মালদহের উন্নয়ন নিয়ে সংসদে কোনও কথা বলতে দেখা যায়নি। ফলে মালদহ জেলায় গঙ্গা ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছিল নানান সমস্যা। আর এইসব সমস্যা সমাধান হয়েছে তৃণমূলের সৌজন্যেই।
উল্লেখ্য, বিগত চার বছরে জেলার ভাঙনগ্রস্ত এলাকায় ৩০০ কোটি টাকার কাজ করেছে রাজ্য সরকার। হয়েছে সিল্কহাব, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র। বিজেপি সাংসদদের সৌজন্যে গঙ্গাভাঙন প্রতিরোধের কাজ এখনও অধরা রয়ে গেছে। তার উপর মূল্যবৃদ্ধি। সার কিনতে মহা সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। উত্তর মালদহের সাংসদ খাগেন মুর্মু ও দক্ষিণ মালদহের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার একটিও পূরণ হয়নি। মেলেনি কেন্দ্রের সাহায্য বা সুযোগ সুবিধা। সারের দাম যেমন বেড়েছে, কিন্তু সেই হারে বাড়িনি ফসলের দাম। ফলে উপেক্ষিত হয়েছে কৃষকেরা। আর উন্নয়নের নিরিখেই এবার উত্তর ও দক্ষিণ মালদহের দুই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে জয়ী করে দিল্লি পাঠাতে চান মালদাহবাসী। মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আবদূর রহিম বক্সী জানান, রাজ্য সরকারের ৭৪টি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন মানুষ। মালদহে বিজেপি ও কংগ্রেস সাংসদ কোনও উন্নয়ন করেননি। এমনকী তাঁরা এলাকায় পা রাখেন না বলেও অভিযোগ। তাই দিল্লীতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাহজাহান আলি রায়হানকে জয়ী করেই সাংসদ হিসেবে পাঠাতে চান মালদহবাসীরা।