ঝড়ের গতিতে ফাইনালে বাংলা। দেরাদুনে শুক্রবার অনূর্ধ্ব ২৩ ওয়ান ডে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে চণ্ডীগড় উড়ে গেল স্রেফ খড়কুটোর মতো। সৌজন্যে চন্দননগরের পেসার ঈশান পোড়েল। তাঁর বোলিং পারফরম্যান্স ৭-১-১৮-৫। তাঁর দাপটে ৩১.৩ ওভারে ৮৩ রানে অল আউট চণ্ডীগড়। আগে ব্যাট করে বাংলার স্কোর ২৩৩-৯। বাংলা জিতল ১৫০ রানে। রবিবার ফাইনালে বাংলার প্রতিপক্ষ গুজরাত।
চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে ২৩৩ রানে বাংলার ইনিংস শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ঈশান পোড়েলকে ডেকে সৌরাশিস লাহিড়ী বলেছিলেন, ‘‘এই ম্যাচে কিন্তু নিজের সেরাটা দিতে হবে।’’ যার উত্তরে ঈশানের প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘‘চিন্তা কোরো না। এই ম্যাচ আমরা জিতবই।’’
ঈশান কথা রেখেছেন। প্রথম স্পেলেই বিপক্ষের পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে তিনি-ই ম্যাচের সেরা। শুক্রবার বাংলার পেসারের বোলিং পরিসংখ্যান ৭-১-১৮-৫। ঈশান ও আকাশ দীপের আগুনে স্পেল ২৬ রানে সাত উইকেট তুলে নেয় বিপক্ষের। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি চণ্ডীগড়ের। ওয়ান ডে-র সেমিফাইনালে ৮৩ রানে তারা অলআউট। ১৫০ রানে জিতে ফাইনালে সৌরাশিসের দল।
ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন অঙ্কুর পাল (৭১) ও রণজ্যোৎ সিং খারিয়া (৬০)। দু’জনের প্রশংসাই করেছেন সৌরাশিস। বলেছেন, ‘এই টিমের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হল, সবাই কিছু না কিছু অবদান রাখছে। একটা ম্যাচে না পারলে অন্য ম্যাচে সেরাটা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে। অঙ্কুর ক্রাইসিস ম্যানের মতো। রণজ্যোৎ পুরো মরসুমে ভালো ফর্মে। আলাদা করে কারও নাম না করে সাফল্যের জন্য পুরো কৃতিত্ব টিমকে দিতে চাই।’
ফাইনালে প্রতিপক্ষ গুজরাত নিয়ে ঈশানের সাফ কথা, ‘প্রতিপক্ষ নিয়ে বেশি ভাবতে চাই না। ওদের কে আছে, কে নেই, তা নিয়ে ভেবে কী করব? নিজেরা যে ভাবে খেলছি, সেটাই ফাইনালে রাখতে চাই।’