ইন্দোরের প্রথম টেস্টেরই পুনরাবৃত্তি ঘটল ইডেনের দ্বিতীয় টেস্টে। এই টেস্টেও ইতি ঘটল তিনদিনেই। গোলাপি বলের ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ সহজেই ইনিংস ও ৪৬ রানে জিতল বিরাট কোহলির দল। রবিবারের দুপুরে ম্যাচ শুরু হওয়ার সঙ্গেই সঙ্গেই যবনিকা পতন হয়ে গেল ম্যাচের। বাংলাদেশের বাকি ৩টি উইকেট তুলতে ইশান্ত-উমেশ-শামিদের লাগল মাত্র মাত্র ৪৫ মিনিট। কারণ মেহমুদুল্লাহ রিয়াধ হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ায় আর নামেননি খেলতে। ফলে ৪১.১ ওভারেই ১৯৫ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
আগের দিন অপরাজিত হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন মুশফিকুর রহিম। তাঁর কাঁধেই ছিল দলকে ইনিংসে হারের হাত থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব। তৃতীয় দিন শুরুও করেছিলেন সেভাবেই। কিন্তু অন্য প্রান্ত থেকে কোনও সাহায্য পেলেন না মুশফিকুর। শেষ পর্যন্ত বড় শট মারতে গিয়ে উমেশের বলে জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ৭৪ রানে ফিরে যান তিনি। বাকিরা কেউ দাঁড়াতে পারেননি ভারতীয় বোলিং ব্রিগেডের সামনে।
এদিনের জয়ের সঙ্গে সঙ্গে টানা সাত টেস্ট ম্যাচ জিতল কোহলির ভারত। টেস্ট ইতিহাসে এটাই ভারতের সবথেকে সফল পর্যায় চলছে। সেইসঙ্গে পরপর চারটি টেস্ট ইনিংসে জিতলেন কোহলিরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ দুই টেস্ট ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুটি টেস্টই ইনিংসে জিতেছেন বিরাটরা। ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে এটাই প্রথম। এই টেস্ট জয়ের সঙ্গে টেস্ট জয়ী অধিনায়কদের তালিকায় অ্যালান বর্ডারকে ( ৩২ ) টপকালেন কোহলি ( ৩৩ )। পাশাপাশি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে টানা তিনটি সিরিজ জিতল ভারত। ৩৬০ পয়েন্ট নিয়ে সবার থেকে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন কোহলিরা।
ইডেন টেস্টে দাপট দেখালেন পেস বোলাররা। ১৯টি উইকেটই নিলেন তাঁরা। এর আগে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২০টি উইকেটই এসেছিল পেসারদের দখলে। ইডেনেই ২০১৭-১৮ সিরিজে ১৭টি উইকেট নিয়েছিলেন পেসাররা। সেই টেস্টেও একটিও উইকেট পাননি স্পিনাররা। ফের সেই ছবি দেখা গেল। আর এই ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ জিতে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন ভারত।