সর্বশক্তি নিয়ে বাংলায় আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। তছনছ করে দিয়েছিল কাকদ্বীপ এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হন বহু মানুষ। বুলবুলের তাণ্ডবের পরের দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে গেছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়। আশ্বাস দিয়েছিলেন দুর্গতদের পাশে থাকার। জেলাশাসক পি উলগানাথন ঘুরে দেখেছেন পাথরপ্রতিমার জি–প্লট, নামখানার বকখালি–সহ সাগরের একাধিক এলাকা। পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে প্রতিটি ব্লকে।
বুলবুলের দাপটে লন্ডভন্ড অবস্থা হয়ে গিয়েছে গোটা কাকদ্বীপ মহকুমা। এই মহকুমার ৪টি ব্লকের মধ্যে নামখানা, সাগর ও পাথরপ্রতিমার অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। ত্রাণ শিবিরগুলোতেও খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাংলার আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। এই ৪টি ব্লকে প্রায় এক লক্ষ বাড়ি ক্ষতি হয়েছে। দুর্গত মানুষকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জ, অমরাবতী, বালিয়াড়া, পাতিবুনিয়া, লক্ষ্মীপুরেও পৌঁছে গিয়েছে পর্যাপ্ত ত্রাণ। এই এলাকার মানুষ ত্রাণ নিয়ে খুব খুশি। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তার্পোলিন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শুকনো ও রান্না করা খাবার দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পঞ্চায়েত অফিস থেকে এই ত্রাণ বন্টন চলছে। প্রতিটি সরকারি কর্মচারির ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
জেলাশাসক নামখানা ব্লক অফিসে গিয়ে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখান থেকে তিনি এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের হাতে হ্যারিকেন ও কেরোসিন তেল তুলে দেন। মুখ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। কারণ নামখানা ব্লকে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হতে এক মাস লেগে যেতে পারে।
পাথরপ্রতিমার জি–প্লটের সুরেন্দ্রগঞ্জ ঘুরে দেখেন জেলাশাসক। ত্রাণ শিবিরে গিয়ে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরে গ্রাম ঘুরে দেখেন তিনি। সমস্যা জানতে চান। এখানে সরকারি ত্রাণ প্যাকেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেই প্যাকেটে শিশুদের দুধ আছে। আছে জামা–কাপড়, বিছানার চাদর। ব্লক প্রশাসনকে দ্রুত ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
সব মিলিয়ে সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতেই চলছে ব্যাপক ভাবে ত্রাণ বিলির কাজ। এই বিপদের সময় যা হাসি ফোটাচ্ছে মানুষের মুখে।মানুষ এই চরম বিপদের সময় লড়ার শক্তি হারাচ্ছেন না কারণ সকলে জানেন মমতা পাশে আছেন সবসময়।