অগণতান্ত্রিক ভাবে উপত্যকায় ৩৭০ ধারা রদ করেছিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। তারপর থেকেই উত্তপ্ত ভূস্বর্গ। প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। ইন্টারনেট নেই, স্কুল কলেজ বন্ধ, রীতিমতো ঘরবন্দী হয়ে দিন কাটিয়েছেন মানুষ। সার্বিক নিষেধাজ্ঞার জেরে ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে উপত্যকার প্রধান ব্যবসায়ী সংগঠন কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। এই ক্ষতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তাঁরা মামলা করার পরিকল্পনা করছে বলেও জানিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠন। এই মামলা হলে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বে মোদী সরকার তা বলাই বাহুল্য।
স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী বিবেক ওয়াজির জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরেই উপত্যকা স্থিতিশীল নেই। কয়েক বছর আগেও হোটেল ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছিলেন অনেকে। কিন্তু এখন ব্যবসার হাল খুব খারাপ। এই মুহুর্তে বিনিয়োগের সম্ভাবনাও নেই”। ফলে ভবিষ্যৎ নিয়ে মারাত্মক ভাবে চিন্তিত সকলেই।
কেসিসিআই-এর সহ-সভাপতি নাসির খান জানিয়েছেন, প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে বিদেশি সংস্থা নিয়োগ করার জন্য আদালতে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। নাসির জানিয়েছেন, মোবাইল পরিষেবার উপরে বিধিনিষেধ থাকায় সব ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ফলে ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ আরও বাড়বে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।