পণ্য পরিবহনের একাধিক মাশুল কমিয়েও লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছে পৌঁছতে পারল না রেল। লক্ষ্যমাত্রা দূরঅস্ত, আগামী ৯ বছরের মধ্যে এই পতন সর্বোচ্চ। যার কথা স্বপ্নেও ভাবেননি রেলকর্তারা।
রেল বোর্ডের স্ট্যাটিসটিক্যাল রিপোর্টে প্রকাশ ২০১৯ অক্টোবরের কার্গো লোডিং গত বছরের তুলনায় কমেছে ৮ শতাংশ। এই পতন ৯ বছরের মধ্যে ঘটেনি। রেলে পণ্য পরিবহনে পিক-সিজন সারচার্জ ১৫ শতাংশ ছিল। পণ্য পরিবহনে বিশেষ সুবিধা দিতে এই সারচার্জ গত সেপ্টেম্বরে তুলে দেওয়া হয়। লক্ষ্য বাড়তি পণ্য আমদানিতে আগ্রহ বাড়ানো। তবু পুজোর সিজনে রেলে পরিবহন বাড়েনি। বরং রেকর্ড পতন ঘটেছে।
রেলের আয়ের সিংহভাগ প্রায় ৭৫ শতাংশই আসে পণ্য পরিবহন থেকে। অক্টোবরে পণ্য পরিবহনের এই রেকর্ড পতনে আয় কমেছে ৯ শতাংশ। এই আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আরও বেরে যেতে পারে বলে মনে করছেন রেল বোর্ডের কর্তারা। তাঁদের কথায়, এনটিপিসি চুক্তি অনুযায়ী রেলকে তাদের কয়লা পরিবহনের জন্য ‘অ্যাডভান্স পে’ করে থাকে। এই অগ্রিম পে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কম করে দেয়। তবে আদপে এই ক্ষতি বাজেট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হবে। কারণ, বাজেট পণ্য পরিবহন থেকে আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে তাঁর থেকে ২০ শতাংশ পিছিয়ে পড়েছে এই আয়। এই ক্ষতি পূরণে রেল কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তা নিয়েই এখন চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রেল কর্তাদের ।