শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় সংগঠনের পতাকা দেখে, তা খুলে দেওয়াটাই ছিল তাঁর ‘অপরাধ’। এবার তাঁরই মূল্য চোকাতে হল দেশের অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়ার মহিলা আধিকারিককে। হ্যাঁ, ক্যাম্পাসের মাঠ থেকে আরএসএস-এর পতাকা সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে এবার পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হল বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির এক সিনিয়ার মহিলা আধিকারিককে। ধর্মীয় ভাবাবেগকে অপমান করার অভিযোগও আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের মাঠে একটি জমায়েত করেছিল আরএসএস। ইউনিভার্সিটির পড়ুয়ারাও অংশগ্রহণ করেছিলেন তাতে। ডেপুটি চিফ প্রোকটর কিরণ দামলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই জমায়েতে যে পতাকা তোলা হয়েছিল, সেটিই তিনি দু’দিন পরে খুলে দিয়েছিলেন। তারপরেই আরএসএস সদস্যরা একটি প্রতিবাদ মঞ্চ বেঁধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন প্রশাসনিক বিল্ডিংয়ে। সেখানেই দাবি ওঠে কিরণ দামলের পদত্যাগের। শুধু তাই নয়, স্থানীয় আরএসএস শাখার তরফে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার হয় থানায়। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে ফৌজদারী মামলা দায়ের করে পুলিশ।
বিস্মিত কিরণ দামলের দাবি, তিনি ইউনিভার্সিটির নিয়ম পালন করছিলেন মাত্র। তাঁর কথায়, ‘অনুষ্ঠান হয়ে যাওয়ার পরে আমি শাখা-সদস্যদের অনুরোধ করেছিলাম যাতে তাঁরা পতাকাটি সরিয়ে নেন। কিন্তু ওঁরা শোনেননি। তাই আমি পতাকাটি খুলি এবং আমাদের পিয়নের কাছে রেখে দিই। পতাকা দেখতে না পেয়ে ওঁরা আমার কাছে এলে আমি জানাই, এখন পতাকা তোলার সময় নয়। ওঁরা জোর করলে ফের বলি, আমি মাঠের ভেতরে পতাকা তোলার অনুমতি দেব না। কারণ সেটা নিয়ম নয়।’ ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁরা স্থানীয় আরএসএস নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে তার আগেই শাসক দলের তরফে কিরণ দামলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।