মহারাষ্ট্রে তিন দশকের জোটসঙ্গী শিবসেনা এনডিএ-ত্যাগের পর এ বার বিজেপি-র ধাক্কাটা এল বিহার থেকে৷ এনডিএ জোটের শরিক রামবিসাল পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি সিদ্ধান্ত নিল, এনডিএ-তে থেকে নয়, ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন তারা একক ভাবে লড়বে৷ ফলে ঝাড়খণ্ডে কার্যত ভাঙনের মুখে এনডিএ।
৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভার ভোটগ্রহণ পাঁচ দফায়। শুরু হচ্ছে ৩০ নভেম্বর থেকে। এই নির্বাচনে আসন সমঝোতা ঘিরে কার্যত ভাঙন এনডিএ-তে। এলজেপির সঙ্গে সঙ্ঘাত এতটাই তীব্র যে একা ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল কেন্দ্রে এনডিএ সরকারের মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের দল। বর্তমানে দলের দায়িত্বে রামবিলাসের ছেলে চিরাগ। তিনি স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় এ বার একাই লড়বে তাঁদের দল। ২১০৪ সালে এলজিপি-কে একটি আসন ছেড়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেটিতেও হেরেছিলেন দলীয় প্রার্থী।
দলীয় সূত্রে খবর, এ বার সেখানে বিজেপির কাছে ছ’টি আসনের জন্য দরবার করেছিলেন চিরাগ। কিন্তু বিজেপি একটিও আসন দিতে রাজি হয়নি। তাই একক ভাবে ৫০টি আসনে লড়ার কথা ঘোষণা করে টুইট করেছেন চিরাগ। আজ প্রথম দফার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হবে বলেও জানিয়েছেন চিরাগ।
শরিকি সংঘাত চলছে এজেএসইউ-এর সঙ্গেও। বিজেপি প্রথম দফায় ৫২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এজেএসইউ ঘোষণা করেছে ১২টি আসনের প্রার্থী। কিন্তু তাতে দেখা যাচ্ছে, চক্রধরপুর কেন্দ্রে দুই শরিকদলই প্রার্থী দিয়েছে। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে দলের রাজ্য সভাপতি লক্ষ্মণ গুলুয়াকে। এ ছাড়া সিমারিয়া, সিন্দ্রি এবং মাণ্ডু কেন্দ্রেও একই পরিস্থিতি।
২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে আসন রফা করে ভোটে লড়েছিল এজেএসইউ। কিন্তু এ বার তারা অন্তত ১৯টি আসন লড়তে চায় বলে বিজেপিকে জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বিজেপি তাদের ন’টির বেশি আসন ছাড়তে নারাজ। দলনেতা সুদেশ মাহাতোর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তাঁরা অবস্থানে অনড়। অন্য দিকে রাজ্য বিজেপি-ও ন’টির বেশি আসন দিতে রাজি নয়। ফলে টানাপড়েন চরমে উঠেছে।