চিরনিদ্রায় প্রাক্তন সিপিআই সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ৮৩ বছর বয়সে জীবনাবসান হল এই প্রবীণ রাজনীতিকের। দলীয় সূত্রে খবর, আজ সকাল ছ’টা নাগাদ কলকাতার বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর স্ত্রী ও এক মেয়ে রয়েছেন। গুরুদাস দাশগুপ্তর প্রয়াণে শোকাহত রাজনৈতিক মহল। শোকবার্তা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘‘সাংসদ এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতা হিসেবে ওঁর অবদান মনে রাখবে দেশ।’’
শোকবার্তা জানিয়ে টুইট করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি লিখেছেন, “সিপিআই নেতা এবং শ্রমিক আন্দোলনের নেতা গুরুদাস দাশগুপ্তর সংসদে বলিষ্ঠ উপস্থিতি ছিল। তাঁর মৃত্যুত বাংলা তথা গোটা দেশের অপূরণীয় ক্ষতি”।
শোকজ্ঞাপন করে টুইট করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল সহ প্রায় সব দলের রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ সিপিএম-এর তরফেও শোকবার্তা জানিয়ে টুইট করা হয়েছে। শোকবার্তায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র লিখেছেন, ‘‘ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের অবিসংবাদী নেতা গুরুদাস দাশগুপ্তের মৃত্যুতে আমি গভীর মর্মাহত। তাঁর মৃত্যুতে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের অপূরনীয় ক্ষতি হল। প্রয়াত গুরুদাস দাশগুপ্তের রাজনৈতিক সততা, আগামী প্রজন্মের কাছে দৃষ্টান্ত স্বরূপ হয়ে থাকবে।’’
এ বছরের আগস্ট মাসে অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। চেতলার বাড়িতে হাঁটতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তখন জানা গিয়েছিল মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। এছাড়াও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যাও ছিল। কিডনির সমস্যাতেও ভুগছিলেন তিনি।
২০০১ সালে সিপিআই-এর শ্রমিক সংগঠন এআইটিআইসির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন গুরুদাস দাশগুপ্ত। টানা ১৭ বছর এআইটিইউসির শীর্ষ পদে থাকার পর অব্যাহতি নেন তিনি। সংসদীয় রাজনীতিতে গুরুদাস দাশগুপ্তর প্রবেশ ১৯৮৫ সালে। ওই বছরই রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন। এর পর ২০০৪ সালে পাঁশকুড়া থেকে জিতে লোকসভার সাংসদ হন। পরের বার লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে তিনি পাঁচ বারের সাংসদ ছিলেন।