গতকাল ভাইফোঁটার দিন সন্ধ্যায় জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামে ৫ বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের দাবি করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩৭০ ধারা রদ হয়ে যাওয়ার ফলে বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে জম্মু-কাশ্মীরের আইনশৃঙ্খলা রয়েছে বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন। আর ওই মন্তব্যের পরই পাল্টা মমতাকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই ঘটনায় তাঁর বক্তব্য, ‘এর দায় নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকেই।’ গোটা ঘটনায় আপাতত রাজনীতির আখড়ায় বাক্যবাণের লড়াই তুঙ্গে।
মুর্শিদাবাদের হত ৫ শ্রমিকের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ”গতকাল একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে কাশ্মীরে। ৫ নিরাপরাধ শ্রমিককে পূর্বপরিকল্পনা করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ব্যথিত।” কেন্দ্রকে নিশানা করে মমতা আরও লিখেছেন,”কাশ্মীরে এখন কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই। আইনশৃঙ্খলা ভারত সরকারের হাতে। আমরা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই। আসল সত্যিটা বেরিয়ে আসুক, সেটাই চাই। সত্যিটা জানতে দক্ষিণবঙ্গের এডিজি সঞ্জয় সিংকে দায়িত্ব দিয়েছি।”
মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামে ৫ বাঙালি শ্রমিককে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় জঙ্গিরা। গুরুতর জখম হয়েছেন এক শ্রমিক। গোটা ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে মুর্শিদাবাদের ব্রাহ্মণী গ্রামকে। ওই গ্রামেই থাকেন পাঁচ নিহত। ঘটনায় পাকিস্তানি মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়,”পাকিস্তান থেকে বারবার হামলা করা হচ্ছে। ভারত এটাই দাবি করে আসছে। সেটাই আবার প্রমাণ হল। দুর্ভাগ্যবশত মুর্শিদাবাদের ছেলেরা মারা গেছে।” কিন্তু এই ঘটনার দায় কিভাবে মুখ্যমন্ত্রীর হয়, তা নিয়ে মুখ খোলেননি দিলীপ। নিজেদের ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতেই কি মমতাকে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, প্রশ্ন উঠছেই।