হরিয়ানায় বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হলেও আজ দুপুরে দ্বিতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন মনোহরলাল খট্টর। আজ ওই রাজ্যের বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠকে খট্টরকে নেতা নির্বাচিত করার পরেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সরকার গড়ার দাবি জানান তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন জননায়ক জনতা পার্টির নেতা দুশমন্ত চৌটালা।
গত শুক্রবার রাতেই খুব ভালোভাবে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, হরিয়ানায় বিজেপি সরকারকে সমর্থন দেবে জেজেপি। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির আর উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন দুশমন্তের দল থেকে। সরকার গড়ার প্রশ্নে প্রয়োজনীয় সংখ্যা নিশ্চিত হতেই আজ সকালে পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়। জাঠ অধ্যুষিত রাজ্যে খট্টরকে সামনে রেখে ভোটে যাওয়ার কৌশল ধাক্কা খেলেও আজ বৈঠকে শেষ পর্যন্ত অ-জাঠ নেতা ৬৫ বছরের মনোহরলাল খট্টরকেই দ্বিতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয় দল। রাজ্যপাল সত্যদেও আর্যকে খট্টর জানান, ‘বিজেপির ৪০ জন ছাড়াও জেজেপির ১০ জন ও ৭ জন নির্দল বিধায়কের সমর্থন আমাদের সঙ্গে রয়েছে।’
ঘটনাচক্রে দুশমন্তের দল বিজেপির শরিক হতেই আজ তিহাড় জেল থেকে দু’সপ্তাহের ছুটি পেয়েছেন শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে জেলে বন্দি থাকা দুশমন্তের বাবা অজয় চৌটালা। বিরোধীরা এ নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপির দিকে। তাঁদের বক্তব্য, ক্ষমতা পেতে বিজেপি এ ভাবেই বারবার দুর্নীতির সঙ্গে আপস করেছে। এই প্রসঙ্গে আজ ফের বিতর্কিত বিধায়ক গোপাল কান্ডার কথা উঠলে হরিয়ানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজনীয় সমর্থন রয়েছে। তাই কান্ডার সমর্থন নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।’
ভোটের ফলাফলেই স্পষ্ট, হরিয়ানাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন অধিকাংশ মন্ত্রীই। কংগ্রেসের বক্তব্য, হরিয়ানার ভোটে সে রাজ্যের মানুষ খট্টর তথা বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে যে অনাস্থা প্রকাশ করেছে, তা স্পষ্ট। কিন্তু তার পরেও খট্টরকে মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না বিজেপির। বিজেপি শিবিরের ব্যাখ্যা, জয়ী মুখ্যমন্ত্রীকে পরিবর্তন করার অর্থই হল ওই রাজ্যে নীতিগত ভাবে দল যে হেরে গিয়েছে তা প্রকাশ্যে মেনে নেওয়া। তাই বাধ্য হয়ে অ-জাঠ খট্টরেই ভরসা রাখতে হয়েছে দলকে। আর অন্যদিকে জাঠ-মুখ হিসেবে থাকছেন দুশমন্ত চৌটালা।