লোকসভা নির্বাচনের পরে হিড়িক উঠেছিল রাজনৈতিক দলবদলের। ভোটের ফল দেখে এবং গেরুয়া বাহিনীর হুমকির মুখে বহু নেতা-কর্মীই যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে। কিন্তু কিছুদিন গড়াতেই সকলেই নিজেদের ভুল বুঝছেন। তাই ত্যাগ করছেন গেরুয়া সঙ্গ। গত লোকসভা নির্বাচনের পর যে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি তৃণমূল কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছিল এবার পরপর সেগুলি পুনরুদ্ধার করছে তৃণমূল। নৈহাটি, হালিশহর, বনগাঁর পর সেই তালিকায় এবার শামিল হল এবার গারুলিয়া পুরসভার নাম। আজ, শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার গারুলিয়া পুরসভার বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় চেয়ারম্যানের পদে বসলেন সঞ্জয় সিংহ। ২১ আসনের গারুলিয়া পুরসভার ১৩ জন তৃণমূল কাউন্সিলারই এদিন সঞ্জয় সিংহের পক্ষে ভোট দেন। অন্যদিকে, বিজেপির ৭ কাউন্সিলার এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের ১ জন কাউন্সিলার পুর বোর্ড গঠন ও প্রধান নির্বাচনে অংশ নেননি। ফলে কার্যত বিনা বাধায় গারুলিয়া পুরসভার দখল নিল তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের পর অর্জুন সিংহের হাত ধরে গারুলিয়া পুরসভার সিংহভাগ তৃণমূল কাউন্সিলার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান এবং নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিংহও তৃণমূল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখান। ফলে গারুলিয়া পুরসভা হাতছাড়া হয়ে যায় তৃণমূলের। কিন্তু মাস কয়েকের মধ্যেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। শুরু হয় তৃণমূলত্যাগী কাউন্সিলারদের ফের দলে ফেরানোর তোড়জোড়। এরপর একের পর এক কাউন্সিলার ফের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে শুরু করলে গারুলিয়া পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় বিজেপি। সম্প্রতি অনাস্থা ভোটের আগেই পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন সুনীল সিংহ। এই প্রেক্ষিতে শুক্রবার কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় গারুলিয়া পুরসভার বোর্ড গঠন ও প্রধান নির্বাচন প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়।