শব্দবাজি নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। এমনটাই জানালেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। তিনি বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতে সব রকম ব্যবস্থা নিচ্ছি। নিষিদ্ধ বাজি শহরে যাতে ঢুকতে না পারে, তার জন্য অনেক আগে থেকেই তল্লাশি চলছে। গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত হয়েছে এ বার। সর্বত্র প্রচার চালানো হচ্ছে। কাজে লাগানো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াকেও। তা সত্ত্বেও কিছু বাজি শহরে ঢুকছে। তবে আমরাও শব্দবাজি আটকাতে তৎপর।
এ শহরে হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের মতো ‘সাইলেন্স জোন’-এ মাইক বাজে, বাজিও ফাটে। ধরপাকড়েও তা কমে না। এমনকি, পুলিশকর্মীদের আবাসনেও শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ ওঠে। তাই সেদিকেও কড়া নজরদারি চালানো হবে পুলিশের তরফে। সাইলেন্স জোনে যাতে এ বার শব্দবাজি না ফাটে, তা দেখতে ওসিদের ওই দিন বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, পুলিশ হাসপাতালগুলির কাছে বেশি করে টহল দেবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে পুলিশ-পিকেটের ব্যবস্থাও থাকবে। পুলিশ আবাসনে যাতে শব্দবাজি না ফাটে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে ওসিদের। উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের আবাসনও যাতে বাদ না যায়, তা-ও দেখা হচ্ছে।
সিপি জানাচ্ছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, রাত আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত বাজি পোড়ানো যাবে। এই নিয়ম যাতে মানা হয়, তার জন্য থানাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ বাজিবিধি ভাঙলে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবেই।’ পরিবেশ দূষণ ঠেকাতেও কলকাতা পুলিশের তরফে জোরকদমে প্রচার চলছে। বাজির দূষণ নিয়ে প্রচার চলছে ফেসবুক-সহ অন্যান্য মাধ্যমেও।
এ বার নিয়ম ভেঙে শব্দবাজি ফাটালে শাস্তির উপরে জোর দিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা জরিমানা ও পাঁচ বছর কারাবাসের কথা রয়েছে। সিপি বলেছেন, ‘এই বিষয়ে চাইলে আমরাও সাহায্য করব। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও দমকলের আধিকারিকেরা লালবাজার কন্ট্রোল রুমে থাকবেন। যাতে কোনও অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’