ভবানীপুরের বাসিন্দা রমেশ বহেল। জোরে গাড়ির হর্ন বাজাতে বারণ করেছিলেন, এই নিয়েই শুরু হয় বচসা। শেষ পর্যন্ত এই কারণে প্রাণ হারাতে হয়েছিল ওই বৃদ্ধকে। অভিযোগের তির ছিল এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে। অবশেষে ঘটনার চারদিন পর গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্ত আইনজীবী তড়িৎ শিকদার। জানা গিয়েছে, তড়িৎবাবু আলিপুর আদালতের আইনজীবী এবং ভবানীপুরেরই বাসিন্দা।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠছিলেন ডার্ক সিকিউরিটি এজেন্সির অন্যতম মালিক রমেশ বহেল। বাড়িতে চলছিল করবা চৌথের অনুষ্ঠান। কিন্তু অফিসে বিশেষ কাজ থাকায় রমেশবাবুকে বেরোতে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে পূজা। তাঁর বক্তব্য, “বাবার স্পন্ডেলাইসিস ছিল। হাঁটতে চলতে অসুবিধেই হতো। গাড়িতে উঠতে একটু সময় লাগছিল। পিছনের একটি গাড়ি অনবরত হর্ণ বাজাতে থাকে। বাবা বলেন, গাড়িতে উঠে যাচ্ছেন। দয়া করে হর্ণ বাজাবেন না। এরপরই ওই গাড়ি থেকে এক ভদ্রলোক নেমে এসে বাবাকে থাপ্পড় মারেন। বাবা পড়ে যান। গাড়ি ঘুরিয়ে পালিয়ে যায় ওরা। বাবাকে একটি স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।”
এরপরেই তড়িৎ শিকদারের বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃত রমেশ বহেলের পরিবার। এরপরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ঘটনার পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন তড়িৎ শিকদার। সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।