ইতিমধ্যেই বানতলা চর্মনগরীতে বিনিয়োগ হয়েছে এবং দু-লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আগামী কয়েকবছরে এই বানতলায় ৮০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানান, এই বানতলাতেই আরও পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
ইতিমধ্যে বানতলা চর্মনগরীর পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্য সরকার খরচ করে ফেলেছে ৫৪০ কোটি টাকা। এবার কলকাতায় ইন্ডিয়া লেদার অ্যান্ড অ্যাক্সেসরিজ ফেয়ারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়ে শিল্পবাণিজ্য ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আরও উন্নয়ন হবে এই বানতলা চর্মনগরীর। এই প্রসঙ্গে অমিত মিত্র বলেন, ‘বর্তমানে বানতলায় ক্যালকাটা লেদার কমপ্লেক্সে ২ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি মানুষ কাজ করছেন। এই বিপুল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে তাঁদের সরকার। বিপুল অঙ্কের লগ্নি আসতে চলেছে শীঘ্রই। এই লগ্নি এলে আরও ৫ লক্ষেরও বেশি কর্মসংস্থান হবে’। অমিত মিত্র জানান, আমাদের লক্ষ্য বানতলাকে বিশ্বের এক নম্বর লেদার কমপ্লেক্স হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা।
তিনি জানান, বানতলা চর্মনগরীতে চারটি নতুন কমন এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট (সিইটি) প্ল্যান্ট তৈরি করা হচ্ছে। কানপুর থেকে আরও ১০০টি ট্যানারি বানতলায় আসতে আগ্রহী। এজন্য মোট ৮০ একর জমি প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামকরণ করা ‘কর্মদিগন্ত’-এ সিএলসির একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত রয়েছে।
বাংলা থেকে প্রচুর ট্যানারি ও চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতকারী কানপুর এবং চেন্নাইয়ের মতো উন্নত পরিকাঠামোগত সুযোগ নিতে চলে আসছেন কর্মদিগন্তে। বর্তমানে ৩৮৫ টি ট্যানারি এবং ৮০টি চামড়াজাত পণ্য ইউনিট চালু রয়েছে। ৮০০ কোটি টাকার বিনিয়োগে ফুটওয়্যার পার্ক তৈরি হচ্ছে। এখানে ৭০০ কর্মসংস্থান সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মদিগন্তে বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। এই প্রকল্পগুলির সমাপ্তিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাঁচ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। সিএলসিতে বর্তমানে টার্নওভার ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। রাজ্য সরকার আগামী পাঁচ বছরে লক্ষ্যমাত্রা ৩০,০০০ কোটি টাকা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে।