আজ বিকেল ৫টার মধ্যেই শেষ হবে অযোধ্যা জমি বিতর্কের শুনানি। ৩৯ দিন টানা শুনানির শেষে, ৪০ তম দিনে শুনানি শেষের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে বুধবার মামলার শুরুতেই আরও সময় চাওয়া হলে, প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে। আর নয়। আজ বিকেল ৫টার মধ্যেই শেষ করতে হবে অযোধ্যা জমি বিতর্কের শুনানি।’
যদিও হিন্দু মহাসভার তরফে আরও শুনানি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। যার প্রেক্ষিতেই আজ শুনানি শেষের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। গতকালই মামলার শুনানি চলাকালীন দু’পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়েছিল। গতকালের শুনানি শেষ হওয়ার পরেই বুধবার অর্থাৎ আজকে ‘শুনানি শেষে’র কথা বলেছিলেন প্রধান বিচারপতি। সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে অযোধ্যা জমি বিতর্ক মামলার শেষ পর্বের শুনানি। প্রসঙ্গত, আগামী ১৭ নভেম্বর অবসর নিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি গগৈ।
এদিকে, অযোধ্যার শুনানি চলাকালীন চূড়ান্ত নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় আদালত কক্ষে। শুনানি চলাকালীন বিতর্কিত জমির মানচিত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়। বিতর্কের সূত্রপাত হিন্দু মহাসভার আইনজীবীর প্রমাণ পেশ ঘিরে। রাম জন্মভূমির স্বপক্ষে একটি বই পেশ করেন আইনজীবী বিকাশ সিং। অভিযোগ, ওই বইয়ে অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মানচিত্র ছিঁড়ে ফেলেন সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী। যার জেরে আদালতে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতিকে অন্য বিচারপতিদের নিয়ে ‘কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার’ হুমকি অবধি দিতে হয়।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের দাবি, গতকাল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে মধ্যস্থতা কমিটি। ২০১০ সালের এলাহাবাদ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে জমির দাবি প্রত্যাহার করতে রাজি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের একাংশ। ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে নয়া রিপোর্ট জমা দিয়েছে প্রাক্তন বিচারপতি খলিফুল্লা, ধর্মগুরু রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং বিশিষ্ট আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চুর তিন সদস্যের মধ্যস্থতা কমিটি।