প্রথম পর্যায়ে ‘সফল’। বুধবার থেকে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করল তৃণমূল। বিধায়ক, সাংসদ, যুব নেতাদের পরে এ বার গ্রামে গ্রামে বা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রাত কাটানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতিরা।
প্রথম পর্যায়ে যে ভাবে তৃণমূলের সাংসদ ও বিধায়করা এই কর্মসূচি রূপায়ণে মাঠে নেমেছিলেন, এ বার সে ভাবেই দলের ব্লক সভাপতি ও টাউন সভাপতিদের নামতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের স্থির করে দেওয়া গ্রাম এবং ওয়ার্ডে এই নেতারা যাবেন, কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন, বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলবেন, ঘণ্টা তিনেকের জনসংযোগ সভা সারবেন এবং রাতে সেই গ্রাম বা ওয়ার্ডেই কোনও কর্মীর বাড়িতে সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করবেন। রাতে সেই গ্রাম বা ওয়ার্ডের কোনও কর্মীর বাড়িতেই ওই নেতাকে থাকতে হবে। এ দিনের বৈঠকে এমন নির্দেশই দেওয়া হয়েছে। মোট ৬০০ নেতা এই পর্যায়ে ‘দিদিকে বলো’ রূপায়ণে নামছেন। ২০০০ গ্রাম এবং ওয়ার্ড বেছে নেওয়া হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রথম পর্বটা কীভাবে রূপায়িত হয়েছে, সে বিষয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রিপোর্ট অত্যন্ত ইতিবাচক এবং দল খুশি বলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান।
উল্লেখ্য, এ বছর ২৯ জুলাই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিটি চালু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আওতায় ৯১৩৭০৯১৩৭০ নম্বরে ফোন করে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারেন সাধারণ মানুষ। অথবা www.didikebolo.com –এ গিয়েও সমস্যার কথা জানানো যায়।