সারা দেশে চলছে অর্থনৈতিক মন্দার বাজার। গাড়ি বাজারে নেমেছে বিরাট ধ্বস। জিডিপির নিরিখে বিশ্ববাজারেও পিছিয়ে পড়েছে ভারত। প্রায় দিন শেয়ারের বাজারের সূচক নিম্নগামী। দেশের শেয়ার বাজারের ক্রমশ পতন, ভারি-মাঝারি থেকে হালকা শিল্পে মন্দা। উৎপাদন কমে গিয়েছে। চা, গাড়ি, তামাক–সহ একাধিক শিল্প ধুঁকছে। কিন্তু এই পরিস্থিতির কোনো উন্নতির চিহ্ন এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। বরং আরও খারাপ হবে ভারতীয় অর্থনীতির হাল। রবিবার আশঙ্কা প্রকাশ করে এই পূর্বাভাসই দেওয়া হল বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে।
আগামী তিনমাস অর্থনীতির হাল যা থাকবে তাতে এই বছরে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৬ শতাংশে। এর ফলে গত বছরের থেকে ০.৯ শতাংশ কম হবে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি। সম্প্রতি আন্তর্জান্তিক অর্থ ভাণ্ডারের নতুন প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা জর্জিয়েভা বলেছিলেন, বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছে। এর প্রভাব ভারতের মতো দেশে আরও বেশি করে দেখা যেতে পারে। রবিবার সেই কথারই যেন পুনরাবৃত্তি দেখা গেল সাউথ এশিয়া ইকনমিক ফোকাসের রিপোর্টে।
বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ক্রমশ কমছে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার। ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে যে বৃদ্ধির হার ৬.৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল, তা এক ঝটকায় ৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে। তবে এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ তাদের মতে, ফের ২০২১ সালের মধ্যে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৯ শতাংশ হতে পারে। আর ২০২২ সালে তা ৭.২ শতাংশে তা পৌঁছতে পারে। যদি প্রথমেও মনে করা হয়েছিল, নোটবন্দি ও জিএসটির জন্য ভারতের ব্যাংকিং ব্যবস্থা বাজারে যথেষ্ট গতি আনবে। তার ফলে বাজারও বেশ খানিকটা নমনীয় হয়ে উঠবে। কিন্তু, তা হচ্ছে না বলেই মনে করছে বিশ্ব ব্যাংক।
রবিবার প্রকাশিত ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, নোটবন্দি ও জিএসটির ফলে ভারতীয় অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা লেগেছে। গ্রাম এবং শহর দুটি জায়গার অর্থনীতিই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বেকারত্বও। ভারতের এইরকম অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন দেশের তামাম অর্থনীতিবিদরা। দ্রুত এই পরিস্থিতি থেকে বেরানোর উপায় বার করতে না না পারলে অদূর ভবিষ্যতে আরও সমস্যা বাড়বে বলে মনে করছেন দেশের ওয়াকিবহাল মহল।