নেটফ্লিক্স, বিদেশি সিরিজ দেখা বাঙালির কাছে সাইবার ক্রাইমকে প্রেজেন্ট করা নেহাত সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জটাই নিয়েছিলেন পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় ও প্রযোজক দেব। বাংলা ছবির নিরিখে কনটেন্ট, লুক, ফিল ও সর্বোপরি স্টাইলাইজেশনে এই ছবিকে এগিয়ে রাখতে বাধ্য হবেন দর্শক। শুধু পাঁচটি মুখ্য চরিত্র নয়, ছবি তৈরির বাকি বিভাগগুলিকেও গুরুত্ব দেওয়ায় স্ট্রেংথ বেড়েছে ‘পাসওয়ার্ড’-এর।
এক দিকে নিশা-আদির ব্যক্তিগত সমীকরণ, অন্য দিকে অফিসার রোহিতের সাইবার ক্রাইম রুখে দেওয়ার অভিযান। এদের সঙ্গেই পর্দায় চলে আসে ইসমাইল (পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়) ও মরিয়ম (পাওলি দাম)। যদিও পরমব্রত অভিনীত চরিত্রটির নাম দ্বিতীয়ার্ধে জানতে পারেন দর্শক। দেশ-কালের গণ্ডি ভেদে একই সঙ্গে তিনটি গল্পের সুতোকে প্রথমার্ধে টানটান ভাবে বুনেছেন লেখক ও চিত্রনাট্যকার রানা মুখোপাধ্যায়।
গ্রাফিক্স, ক্যামেরা, সেট, লাইটের কাজ এই ছবির সম্পদ। স্যাভির ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের প্রশংসা করতে হয়। ছবি নিয়ে যদি কথা বলতে হয় তবে বলা যায়, সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে নোটবন্দি ও ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মেলবন্ধন মন্দ নয়। সঙ্গে স্যাভির নজরকাড়া ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর। এই ধরনের গল্পে যে গতি প্রত্যাশিত, ঠিক সেই ছন্দে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে গতি তুলনায় কম। ধীরে ধীরে জট ছাড়াচ্ছে সুতো। পাশাপাশি রয়েছে গল্পের টুইস্টস অ্যান্ড টার্নস। ছবির শেষেও অপেক্ষা করে থাকে চমক। চিত্রনাট্যে অস্পষ্টতা রয়েছে ঠিকই। সাইবার ক্রাইমের মতো জটিল বিষয় দর্শককে আরও একটু বুঝিয়ে বলার দরকার ছিল। চরিত্রগুলি কোথা থেকে কোথায়। অ্যাকশন দৃশ্যে তিনি যতটা ভাল, কয়েকটি দৃশ্যে তাঁর ক্যাটওয়াক স্টাইলে হাঁটা ততটাই বিসদৃশ। বাকি চারটি চরিত্রের তুলনায় পাওলির চরিত্রে পরত কম। তবে অভিনয়ে তিনিও ত্রুটি রাখেননি।