ফের মাওবাদী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল ঝাড়খন্ড। আজ ভোরবেলা মাওবাদীদের ছোঁড়া গোলাগুলিতে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। পালটা প্রত্যুত্তর দেয় পুলিশও। যার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ২ জন পুলিশ। পুলিশ জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে।
খবর পাওয়ার পরে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। তিনি বলেন, ‘আজ এনকাউন্টারে দুই জাগুয়ার জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের এই বলিদানকে আমি স্যালুট জানাই। ঝাড়খণ্ডে মাওবাদ এখন শেষ নিশ্বাস নিচ্ছে।তবে ওদের পুরোপুরি খতম না করা পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নেব না।’
ঝাড়খণ্ডের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ মুরারি লাল মীনা জানিয়েছেন, গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর আসে বুন্দু ও নামকুম এলাকার দশম ফলস এলাকায় কয়েকজন মাওবাদী লুকিয়ে আছে। এই খবর পাওয়ার পরেই শুক্রবার ভোর চারটে নাগাদ ওই এলাকায় তল্লাশি চালাতে শুরু করে পুলিশ। এইসময়ই আচমকা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীরা। পালটা জবাব দিতে শুরু করেন পুলিশকর্মীরাও। উভয়পক্ষের গুলির লড়াই চলাকালীন জেলা পুলিশের দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পরে একজন পুলিশকর্মীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত ডাক্তাররা। পরে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় আরও একজনের।
রাঁচির জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের গুলিতেও কয়েকজন মাওবাদী খতম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও মৃতদেহ উদ্ধার করা যায়নি। তাদের দেহগুলি অন্য মাওবাদীরা লুকিয়ে ফেলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এখনও তল্লাশি চলছে। দশম ফলস সংলগ্ন জঙ্গলেই তারা লুকিয়ে আছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও মাওবাদীকে গ্রেফতার করা যায়নি।