অসহিষ্ণুতা, গণপিটুনির মতো ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে গত কয়েকমাস আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন দেশের ৪৯জন বুদ্ধিজীবী। আর তারপরেই ওই বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে বিহারে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
এই প্রসঙ্গে মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমালোচনা করে যে কেউ যা কিছু বললেই সরকার তাঁকে জেলে ঢুকিয়ে দেবে। তাঁকে আক্রমণের মুখে পড়তে হবে। সংবাদমাধ্যম ভেঙে পড়েছে। এর মধ্যে কোনও লুকোচাপা নেই। সবাই জানে যে কী চলছে’।
বুদ্ধিজীবীদের সংহতি জানিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘আজ শুধু দেশ নয়, গোটা দুনিয়া জানে ভারতে কী চলছে। দেশটাকে একনায়কতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, এটা পরিষ্কার’। তাঁর কথায়, ‘একজনই দেশ শাসন করতে চাইছেন। চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে একটি মতাদর্শ। সবাইকে চুপ করিয়ে রাখার বন্দোবস্ত চলছে। আর প্রতিবাদ করলেই বলা হচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহী’।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা বুদ্ধিজীবীদের চিঠি নিয়ে বিহারের মুজফফরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সূর্যকান্ত তিওয়ারির কাছে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন সুধীর কুমার ওঝা নামের এক আইনজীবী। সেই পিটিশনকে ঘিরে একটি অর্ডার পাস করেন ম্যাজিস্ট্রেট। সেই অর্ডারের ভিত্তিতেই সদর পুলিশ স্টেশনে ৪৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন সুধীরবাবু। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে আইপিসির একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রের বিরোধিতা, অস্থিরতা তৈরি করা, ধর্মীয় ভাবাবাগে আঘাত, শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টার মতো অভিযোগ।