জম্মু-কাশ্মীরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনুন। একইসঙ্গে বলে, যা কিছু করণীয়, সবই করতে হবে জাতীয় স্বার্থকে মাথায় রেখে। সোমবার কেন্দ্র সরকারকে এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করা হয়। তার আগে কয়েক হাজার বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয় কাশ্মীরে। রাজ্যের নানা প্রান্তে কার্ফু জারি করা হয়। মোবাইল, ল্যান্ডলাইন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। এই কড়াকড়ির বিরুদ্ধে পিটিশন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার তার শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির এক বেঞ্চ এদিন বলে, আমরা নির্দেশ দিচ্ছি, জম্মু-কাশ্মীরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করতে হবে। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে ধীরে ধীরে কড়াকড়ি বন্ধ করতে হবে।
তিন বিচারপতির বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি বাদে ছিলেন বিচারপতি এস এ বোবদে ও এস এ নজর। সরকারের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতে বলা হয়, কড়াকড়ির সময় কাশ্মীরে কারও মৃত্যু হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে কাশ্মীরে যাতে বড় ধরনের বিক্ষোভ না হয়, সেজন্যি কড়াকড়ি করা জরুরি ছিল। শীর্ষ আদালতে আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। তিনি দু’বার কাশ্মীরে ঢুকতে চেষ্টা করেছিলেন। দু’বারই তাঁকে বিমান বন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁকে কাশ্মীরে গিয়ে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হোক।