বোসপুকুর শীতলা মন্দির দুর্গোৎসব কমিটির তরফে সম্পাদক কাজল সরকার বলেন, এ বছর আমাদের পুজোয় থিম ‘খুঁজে দেখো আপন আলো’। এই পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষই কিছু না কিছু প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু এখন অভিভাবকদের চাপে সেগুলো প্রকাশিত হতে পারে না। কারণ প্রত্যেক অভিভাবক চায় তাদের সন্তান পড়াশোনায় মেধাবী হবে। ফলে পড়াশোনার চাপ থেকে বেরোতে না পারায় সঠিক ভাবে তাদের প্রতিভা প্রকাশ পায় না। এই বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করেই আমাদের থিম খুঁজে দেখো আপন আলো। পুজোর আনুমানিক বাজেট প্রায় ৩৫-৪০ লাখ টাকা।
তাঁর কথায়, মণ্ডপে ঢুকলেই দেখা যাবে প্রচুর পেন, পেন্সিল, বইখাতা প্রভৃতি। থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেবী প্রতীমাও ধ্যানস্থ অবস্থায় থাকবেন। কারণ আমরা এই বার্তাই দিতে চাই যে, প্রতিটি মানুষেরই ধ্যান বা মেডিটেশনের প্রয়োজন হয়। এমনকী দেবী দুর্গারও। কারণ যে কোনও শিক্ষার জন্যই দরকার সাধনার। কাজল বাবু জানান, প্রায় ৫ মাস ধরে চলছে তাদের মন্ডপ শয্যার কাজ। মূল কাজটাই হয়েছে তমলুকের নিমতৌড়িতে শিল্পীর ওয়ার্কশপে। প্রায় ৪০ জন শিল্পী দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন।
গতবার বোসপুকুর শীতলা মন্দিরের থিম ছিল ‘উল্কি সাজে ঘোড়ায় চড়ে মা আসছেন গোন্ডদের ঘরে’। ভারতবর্ষ বিশেষ করে মধ্যপ্রদেশের উপজাতি গোন্ডদের উল্কি সাজে দেবী দুর্গাকে দেখতে গতবার এই পুজোয় ভিড় জমিয়েছিলেন দর্শনার্থীরা। তেমন এ বছর ‘আপন আলো’ খুঁজে দেখতেও যে বোসপুকুর শীতলা মন্দিরের পুজোয় মানুষের ঢল নামবে, তা বলাই বাহুল্য।
