শতবর্ষ থেকে ছিলেন আর মাত্র বছর চারেক দূরে। এমনকি ৯৬ বছরের জন্মদিন পালন করতে বাকি ছিল আর মাত্র ৬ দিন। তার আগেই প্রয়াত হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাম জেঠমলানী। জেঠমলানীর পরিবার সূত্রে খবর, আজ সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ নয়াদিল্লীতে তাঁর বাসভবনেই মারা যান এই প্রবীণ আইনজীবী। তাঁর ছেলে মহেশ জেঠমলানী জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন রাম।
রাম জেঠমলানীর জন্ম হয়েছিল তৎকালীন বম্বে প্রেসিডেন্সির সিন্ধ প্রদেশে, ১৯২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রথম বিভাগে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। এর পর অবিভক্ত পাকিস্তানে শুরু করেন নিজের কর্মজীবন। তবে দেশভাগের পর তৎকালীন বম্বেতে এসে ফের শূন্য থেকে শুরু করেন তিনি। ২০১৭-তে নিজেরর কর্মজীবন থেকে অবসর নেন রাম জেঠমলানী।
কর্মজীবনে বিতর্ক যেন সব সময়ের সঙ্গী ছিল জেঠমলানীর। আইনজীবী হিসাবে বহু হাইপ্রোফাইল মামলা লড়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৫৯-এর কে এম নানাবতী ভার্সাস স্টেট অব মহারাষ্ট্র মামলা, ২০১১-তে হাওয়ালা মামলা যাতে নাম জড়িয়েছিল লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো রাজনৈতিক মহারথীর। অরুণ জেটলির করা মানহানির মামলায় অরবিন্দ কেজরীওয়ালের হয়ে সওয়াল করা থেকে শুরু করে তিনি লড়েছেন স্টকব্রোকার হর্ষদ মেটার মামলাও।
আদালতে সওয়াল-জবাবের গণ্ডি ছাড়িয়ে পা রেখেছিলেন রাজনীতির আঙিনাতেও। অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেঠমলানী রাজস্থান থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবেও নির্বাচিত হন। তাঁর ছেলে মহেশ জেঠমলানীও দেশের নামজাদা আইনজীবী। ২০১১-তে তাঁর মেয়ে রানি জেঠমলানীর মৃত্যু হয়। এ দিন মহেশ জানিয়েছেন, আজ, রবিবার সন্ধ্যায় লোধি রোডের শ্মশানে রাজ জেঠমলানীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন দেশের নামজাদা ব্যক্তিত্বরা।