যখনই ব্যর্থতা এসেছে আবার নতুন উদ্যোমে জ্বলে উঠেছে ইসরো। ১৯৬৯ থেকে ২০১৯। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বিজ্ঞানের নানা উপহার সারা বিশ্বের সামনে হাজির করে চলেছে ইসরো। শুরুতে সর্বাধিক ৪০ কেজি ওজনের উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয়েছিল ইসরো। সেখান থেকে আজ চন্দ্রযান ২ চাঁদের কক্ষপথে উড়ে গিয়েছিল ৪০০০ কেজি ওজন নিয়ে। তবে এই ৫০ বছরে বারবার হোঁচট খেয়েছে ইসরো। কিন্তু কখনও দমে যায়নি। আবার নতুন কোনো গবেষণা নিয়ে হাজির হয়েছে দেশের অন্যতম গবেষণা সংস্থা।
যেমন এক দশক আগে চন্দ্রযান ১-কে লুনার মিশনে পাঠিয়েছিল ইসরো। তা সফল হয়নি। ইসরো তাতে দমেনি। দশ বছর পর চন্দ্রযান ২ পাঠিয়েছে চাঁদের উদ্দেশে। প্রথম মিশনের তুলনায় তা অনেকটাই সফল। শেষ মুহূর্তে বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে গেলেও, ইসরো জানিয়েছে তা ৯৫ শতাংশই সফল হয়েছে। বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা এখনও চলছে। তা শেষমেশ সম্ভব না হলেও, অরবিটার এখনও সাত বছর কর্মক্ষম থাকতে পারে।
আর এই ব্যর্থতা ভুলে আবার নতুন কাজের দিকে অগ্রসর হওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন ইসরো চেয়ারম্যান। তাঁর কথায়, এরই সমান্তরালে আরও পাঁচটি মিশনের জন্য পুরোদস্তুর প্রস্তুতি চলছে তাঁদের। তিনি আগামী পাঁচটি মিশনের তালিকার কথা জানিয়ে দিলেন।
সেগুলি হল- অ্যাস্ট্রোস্ট্যাট। এটা হল মাল্টি ওয়েভলেন্থ স্পেস টেলিস্কোপ।
আদিত্য এল ১। সূর্যের উপর গবেষণার জন্য এই মহাকাশ যান তৈরি করছে ইসরো। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে আদিত্য এল ১ অভিযানে যাওয়ার কথা।
গগনযান মিশন। এটা হল ইসরো প্রস্তাবিত মহাকাশ অভিযান। এ জন্য মহাকাশ যান নির্মাণ প্রায় সম্পূর্ণ করে ফেলেছে ইসরো। গগনযানে তিন জন মহাকাশচারীকে পাঠানো হবে। এ জন্য ভারতীয় বায়ুসেনা থেকে তিন জনকে বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া জোর কদমে চলছে।
মঙ্গলযান-২। মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশে এ হল ইসরোর পরবর্তী অরবিটার মিশন। ২০২৪ সালে মঙ্গলযান রওনা হবে বলেই পরিকল্পনা রয়েছে ইসরোর।
চন্দ্রযান-৩। বস্তুত চন্দ্রযান ২ ষোলো আনা সফল হলেও চাঁদের ফের মহাকাশ যান পাঠানোর পরিকল্পনা আগেই ছিল ইসরোর।
পাশাপাশি কে শিবন সেটাই আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন। তবে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন ইসরো একা করবে না। জাপানের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত হবে চন্দ্রযান ৩ প্রকল্প। সেই আগামীদিনের দিকে তাকিয়ে দেশের গবেষণা সংস্থা।