মেট্রোয় কাজের জন্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ বাবদ দিতে হবে ৫ লক্ষ টাকা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে নিয়ে সেই মত কাজ শুরু করেছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আজ থেকে শুরু হল চেক বিলির কাজ।
বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল কেএমআরসিএল-এর তরফে। জানানো হয়েছিল গৃহহীন পরিবারগুলিকে বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দেওয়া হবে ৫ লক্ষ টাকাও। সেই মতোই আজ শনিবার থেকে চেক বিলি করা শুরু করল মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
সূত্রের খবর, ১০০টি পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে স্থানীয় প্রশাসন থেকে আপাতত ১৫টি পরিবারের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গিয়েছে। কাজেই প্রথমিকভাবে তাঁদেরকেই চেক দেওয়া হবে বলে। এরপর একে একে প্রত্য়েক পরিবারকেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ হবে। কেএমআরসিএল-এর তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সোমবারের মধ্যে শেষ করা যাবে প্রথম দফার চেকবিলি প্রক্রিয়া।
মেট্রোর ক্ষতিপূরণ নিয়েও ঘরহারাদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ, তাঁদের অনেকেরই ব্যাঙ্কের জরুরি নথি বাড়িতেই রয়ে গিয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে জরুরি জিনিসপত্র বার করার জন্য পুলিশ দুর্গা পিতুরি লেন, সেকরাপাড়া লেন ও গৌর দে লেনের গলির মুখ আটকে কুপন দেওয়া শুরু করা হয়। সকাল থেকে লাইন দিয়ে সেই কুপন সংগ্রহ করে প্রতিটা পরিবারের সদস্যেরা বাড়ির ভিতরে ঢুকে যতটুকু সম্ভব প্রয়োজনীয় জিনিস বার করে এনেছেন। পরিস্থিতি বুঝে খুব কম সময়ের জন্য বাড়ির ভিতরে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে পুলিশ। কিন্তু উদ্বিগ্ন বাসিন্দাদের অনেকেরই ব্যাঙ্কের সমস্ত কাগজপত্র বাড়ির ভিতরেই রয়ে গিয়েছে। ব্যাঙ্কের নথি ছাড়া অ্যাকাউন্টে জমা পড়া ক্ষতিপূরণের টাকা কী ভাবে তাঁরা পাবেন এই নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে ওই বাসিন্দাদের মধ্যে।